ন্যায় বিচারের দৃঢ়তা কি ? কোথা থেকে কিভাবে ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি বা কোরআনের আদেশ কার্যকর করা উচিত ?

প্রিয় ইহলৌকিক জীবনের সহযাত্রীবৃন্দ ,

‎السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

ন্যায় বিচারের সঙ্গা বলতে গিয়ে আমি বলেছিলাম , কোরআনে উল্লেখিত অবকাঠামোর বিপরীত কোন কাজ -কর্ম , আদেশ , পরামর্শ যাই করুন না কেন তাই অন্যায় ।

এপ্রসংগে , সূরা নিসা , আয়াত ১৩৫ এ বর্নিত আদেশের উদৃতি তুলে ধরা হল :

“ হে মু’মিনগন । তোমরা ন্যায় বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকিবে আল্লাহর স্বাক্ষীস্বরূপ ;

যদিও ইহা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা আত্নীয় স্বজনের বিরুদ্ধে হয় ;

সে বিত্তবান হউক বা বিত্তহীন হোক আল্লাহ উভয়েরই ঘনিষ্ঠতর ।

সুতরাং ন্যায় বিচার করিতে প্রবৃত্তির অনুগামী হইও না । যদি তোমরা পোঁচালো কথা বল বা পাশ কাটিয়ে যাও তবে তোমরা যাহা কর আল্লাহ তো তাহার সম্মক খবর রাখেন “।

একটু বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় : –

১। ন্যায় বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকিবে আল্লাহর স্বাক্ষীস্বরূপ : ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে মনে প্রানে আল্লাহ সচতনতা অর্থাৎ সর্বদা স্বরণ রাখতে হবে , আল্লাহ সুবহানু তা’য়ালা সর্বত্র বিরাজমান এবং তাঁকে ফাঁকি দেয়ার মত কোন জায়গা, অবস্থা বা কৌশল কার্যকর নয় ।

***কিন্তু বাস্তবে সেই চর্চা নিত্যান্তই বিরল।

সুতরাং ভাবতেই অবাক লাগে কিভাবে ইবলিস মানব জাতিকে জ্ঞানের মান দন্ডে ভুল বুঝিয়ে সেই চর্চাই কোরআনের বিপক্ষে চলমান রাখল ?

২। আল্লাহর দেয়া বিধানানুযায়ী ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে ব্যাক্তি , বিচারক , আদেশদাতা যদি নিজেও সেই বিচারে দন্ডিত হয়, তার পরও তার দন্ড মেনে নিতে হবে ।

*** কিন্তু বাস্তবে নিজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রায় দেয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আইনই পরিবর্তন করতে দেখা যায় , যা সম্পূর্ণ কোরআনের আইনের পরিপন্থি ।

মানুষ কি সেই দায় কখনো এড়াতে পারবে? নিশ্চয়ই না ।

বলা বাহুল্য রাষ্ট্রপতির স্পেশাল ক্ষমাও কোরআন স্বীকৃত নয় ।

এখানেও সেই মহা প্রতারক ইবলিস মানব জাতিকে কোরআনের বিপক্ষে দাড় করিয়ে দিল ।

৩। অনুরূপ পিতা-মাতা বা নিকট আত্নীয় এর প্রতিও ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দৃঢ়তা অবলম্বন করতে হবে ।

কিন্তু বাস্তবে আমরা অনেকাংশেই নীজ স্বার্থ হাসিলের চলমান দৃশ্য দেখতে পাই । এমনকি নীজ দলীয় লোকের ক্ষেত্রেও বিচার শিথিল করার রেওয়ায়েজ চলমান ।

এক্ষেত্রেও মহাপ্রতারক ইবলিস আমাদের আক্বল ও কোরআনের জ্ঞানের পোষাক ঢেকে দিল ও কোরআনের বিপক্ষে দাড় করিয়ে আইনের অন্তরালে আত্নীয়তার শর্তে কোরআনের শর্ত না মানার মত কবীরা গুনাহে নিমজ্জিত করে রাখল ।

৪। বিত্তবান হউক বা বিত্তহীন : আল্লাহ সুবহানু তা’য়ালা কোরআনের মাধ্যমে এই সাম্যতা শিক্ষা দেন যে, তাঁর কাছে বিত্তবান হউক বা বিত্তহীন উভয়েই সমান ।

সতরাং ন্যায় বিচারের স্বার্থে কোন আপোষ করা হয়নি ।

কিন্তু বাস্তব রূপ অনেক ভিন্ন দেখা যায় ।

৫। প্রবৃত্তির অনুগামী হওয়া : এটাও একটি স্বাভাবিক প্রকৃয়া আমরা সচারাচর দেখতে পাই যে প্রবৃত্তিকে ন্যায় বিচারের উর্ধে স্থান দিয়ে ন্যায় বিচারের মানদন্ডের সূচক ভুলন্ঠিত করে রাখছে ।

৬। পোঁচালো কথা বল বা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার প্রবনতা একটি স্বাভাবিক প্রকৃয়ায় দাড়িয়েছে । যার দ্বারা ন্যায় বিচার প্রকৃতপক্ষে বিলম্বিত করা হয় ও প্রকারান্তরে ন্যায় বিচার ভূলিয়ে রাখার ব্যাবস্থা করা হয় ।

এ সবই মহা প্রতারক ইবলিসের কারসাজি ।

এখন প্রশ্ন হল কোথা থেকে ন্যায় বিচার কার্যকর করা যাবে ?

মতামত : ব্যাক্তি , সমাজ, রাষ্ট্র সর্বত্র ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করার লক্ষে কাজ করতে হবে । কিন্তু তার আগে কোরআনের অধ্যায়ন সর্বত্র প্রচলন করতে সক্ষম হলেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব ।

সকলের মতামত প্রত্যাশিত ।

আমীন ।।

আহমেদ জাফর

Note : Please read it carefully and drop your personal valued comment , share and invite to your friends in order to focus up the human nation .

https://www.facebook.com/researchonislam/

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *