মানবীয় গুনের বিচারে ধর্ম না কি ধর্মের বিচারে মানবীয় গুন বিচার্য ? কে কাকে কিভাবে সালাম বিনিময় করবেন ?
মানবীয় গুনের বিচারে ধর্ম না কি ধর্মের বিচারে মানবীয় গুন বিচার্য ? কে কাকে কিভাবে সালাম বিনিময় করবেন ?
উত্তর : প্রচলিত প্রথায় আমরা বেশ ভিন্নতা লক্ষ করছি যা দুনিয়ায় হিংসা ও জাতিগত দৈন্যের অন্যতম কারন ।
সূরা নিসা , ৪/৮৬
وإذا حييتم بحية فحيوا باحسن منها أو ردوها
সালাম বা অভিবাদনের প্রতি উত্তরে তদাপেক্ষা উত্তম বা অনুরূপ সালাম / অভিবাদন করিবে ।
যেখানে আল্লাহ কোন জাতি ধর্ম -গোত্র দিয়ে আলাদা না করে মানব জাতীর জন্য আমভাবে নির্দেশ করেছেন ।
কিন্তু প্রচলিত নিয়মে মুসলিম- অমুসলিমের মধ্যে আভিবাদন / সালাম বিনিময়ের ক্ষেত্রে এর খর্বতা লক্ষ করা যায় ।
যার ফলশ্রুতিতে জাতিগত দন্দ চরম অশান্তিতে রূপ নিয়েছে ।
ইবলিস মানবের মধ্যে দন্দ বাদিয়ে ফায়দা লোটার নিমিত্বে এ ধরনের অপকৌশল দ্বারা মানব জাতিকে জ্ঞানের দিক থেকে দিগম্বর করে রেখেছে ।
আর এর জন্য আমি নামধারী কোরআন অধ্যায়ন না করা মুসলিমদেরই বেশী দায়ী করব। কারন যারা ইসলামের দাওয়াত ও পরিবেশ পেয়ে মুসলিম বলে দাবী করেন , তাদের উচিত কোরআন পড়ে , বুঝে অন্যদের বুঝানো ও সদ্যাবহার করা ।
২। কোরআনে কি কোন অসংগতি আছে ? প্রমান কি ?
উত্তর : সূরা নিসা , ৪/৮২ ।
افلا يتدبرون القران ً؟….
যারা কোরআন নিয়ে বিভিন্ন সংসয়ের বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন , তাদের জন্য আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন অতাৎক্ষনিকভাবে সতর্কতা করেছেন , “ তবে কি তাহারা কোরআন সম্পর্কে অনুধাবন কর না”?
যদি কোরআন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে নাযিল হত , তাহলে কোরআনে পরস্পর বিরোধী সংলাপের অনেক অসংগতি পাইত ।
সুতরাং দুনিয়ের সকল মানবের স্পস্ট দলিল হিসেবে অসংগতি মুক্ত ও অপরিবর্তনশীল
একমাত্র বিধান কোরআন মেনে নিতে বিন্দু
মাত্র সন্দেহের অবকাশ নাই ।
৩। মুসলিমরা কি জঙ্গী ? তারা কি আগে যুদ্ধ -দাঙ্গামা করে ? না কি প্রতিহত ও প্রতিরোধ করে ?
সূরা , নিসা , ৪/৮৪।
এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় , উহুদের পর তৃতীয় হিজরীর যুল-কা’দায় মহানবী স: মুশরিকদের মুকাবিলা বা প্রতিহত ও প্রতিরোধ করার জন্য বের হয়েছিলেন ।
যার প্রতি ঈঙ্গিত করে আল্লাহ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য উদ্ভুদ্ধ করেছেন । কিন্তু আসল ঘটনা আড়াল করে ইবলিসের তাড়নায় মুসলিমদের জঙ্গিরূপ দিয়ে সামাজিক ভাবে কলঙ্কিত করেছেন ।
যা নিত্যান্ত গর্হিত কাজ । তারা রি আল্লাহর দরবারে কোন স্বচ্ছতা প্রমান করার যোগ্যতা রাখেন ?
৪। ভাল কাজের সুপারিশ এর যেমন প্রশংসা পাওয়ার দাবী রাখেন , খারাব কাজের সুপারিশের ও দায় নিবেন না ?
সূরা নিসা – ৪/ ৮৫
من يشفع شفاعة حسنة…..
আমরা সবাই একটি ভাল কাজের সুপারিশ করলে সেই ভাল কাজের কৃতিত্বের অংশ দাবী করি , তাহলে
সবার এটাও জেনে রাখতে হবে যে , খারাব কাজের সুপারিশ কারীর কিন্তু খারাব কাজের প্রতিফলের অংশ থাকবে ।
সুতরাং কোরআন না জানলে মানুষ সংশোধন হবে না এবং খারাপ কাজের সুপারিশ , ভাল কাজের কৃতিত্ব খেয়ে ফেলবে ।
৫। শাস্তি বা শংকার কোন সংবাদ প্রচার করার ক্ষেত্রে কোন নীতি অনুস্বরন করা উচিত ? আমাদের সাংবাদিকরা কি তা অনুস্বরন করে ?
উত্তর :
সুরা নিসা -৪/৮৩
শাস্তি বা শংকার কোন সংবাদ আসলে আগেই তা প্রচার করে শংকার মাত্রা না বাড়িয়ে বরং ইহা রসুল কিংবা তাদের চেয়ে ক্ষমতাধর তাদের গোচরে আনার নির্দেশ দিয়েছেন ।
বলা বাহুল্য এজাতীয় সমস্যা সমাধানে সরকারের উচিত মসলিসে সূরার মাধ্যমে প্রকৃত জ্ঞানীদের ( যারা তিন কালের জ্ঞান রাখেন বা কোরআন জানেন ) গবেষনা লব্দ মতামত গ্রহন করা ।
কিন্তু বাস্ত জীবনে তা না করে বরং শয়তান ও
তার দোষররা প্রকৃত আলেমদেরই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পার্থিব জীবনে শাস্তি প্রদান করে ।
যার পরিনাম দুনিয়া ও আখিরাতে ভয়াবহ ।
পরিশেষে আমরা বলব আক্বলকে কোরআন দ্বারা শানিত করি ও অন্যান্য জ্ঞান দ্বারা উৎকর্শ করে মানবীয় গুনে গুনান্বিত হলেই মানবীয় কল্যান সাধিত হবে , ইনশাআল্লাহ ।
আল্লাহ আমাদের মানবকুলকে সঠিক বুঝদানে সহায়তা কারুন ।
আমীন ।।
আহমেদ জাফর
No comment