অন্যের হক্ব নষ্ট করা কি যালিমের অন্তর্ভূক্ তনয় ? আপনার আক্বল কি বলে ?

ধরুন একটি পাখি সারাদিন খাদ্যের সন্ধানের জন্য বিচারণ করে যা আল্লাহর দুনিয়ায় তার রব তার জন্য যতটুকু খাদ্য বরাদ্ধ রেখেছেন সেটুকু খেয়েই তৃপ্ত হয়ে রাতে বিস্রামে করে ।

তারও যদি বাচ্চা থাকে তবে তার জন্যও খাবার জোগার করে এনে বাচ্চাকে খাইয়ে রাতে বিশ্রাম

করে সকালে আবার খাদ্যের সন্ধানে বের হয় ।

কিন্তু মাহান রব্বুল আ’লামীন তার খাদ্যের ব্যাবস্থা তরে দেন । সুবহানাল্লাহ ।

সে কিন্তু কোন খাদ্য জমাও রাখে না , অপচয়ও করে না । অথচ তার কোন সমাজ বা রাজত্বের দায় নেই বিধায় সে কোন আমানতের খেয়ানত বা মাহরুম ও করে না ।

পক্ষান্তরে দেখুন , মানুষ , কেহ খাচ্ছে , অথচ তার প্রতিবেশী অভুক্ত , আত্নীয় অভুক্ত , সমাজ বা রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলরা অনেকেই অযাচিত সম্পদ জমা করে রেখেছে , যা কোন না কোন উপায়ে দুর্বলদের সম্পদ ও হনন করে রাখে ।

তাহলে,

তিনি বা তাহারা কি মূলত আমানতের খেয়ানত করল না ?

অপচয় করল না ?

কারসাজি করে অন্যকে বঞ্চিত করল না ?

অথচ তার সামনেই দেখেছেন প্রতিনিয়ত অনেকেই দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন ।

যে সম্পদ অন্যায় ভাবে সংগ্রহ করে চলে গেলেন তা হয়ত তার বা তাদের কারোরই কোন উপকারে আসে না ।

সেটা আবার বেহাত হয়ে যায় এবং এভাবেই ধারাবাহিকতা চলতেই থাকে ।

এর পরও কি তারা আক্বল দিয়া কিছুই চিন্তা করে না ?

তারা কতই না যালিম যে একই সংগে তার রব্বের সাথে এবং মানবের সাথেও যুলুম করে ?

কিন্তু তাদের মধ্যে যদি কোরআনের সঠিক জ্ঞান থাকত তাহলে তারা এরকম যুলুম করত না ।

আর তা, তাঁর নিজের , পরিবারের , সমাজের ও রাষ্টরের জন্য কতই না সুন্দর উদাহরণ হয়ে থাকত ।

উপরন্তু তার রেখে যাওয়া অবৈধ ( আল্লাহর কোরআনের নীতির পরিপন্থি ) সম্পদ অন্যায়ভাবে ব্যবহৃত হলে , সে অন্যায়ের দায় কি সে এড়াতে পারবেন ???

নিশ্চয়ই না । বরং মৃত্যুর পরেও তার অবৈধতার বীজ তার শাশ্তির জন্য স্বাক্ষী দিতে থাকবে ।

সুতরাং হে মানব জাতি , কোরআন পড়ি ও কোরআন থেকে শিক্ষা নিয়ে পরকালের জন্য পাথেয় প্রস্তুত করে নেই ।

আমীন ।।

আহমেদ জাফর

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *