মৃত্যু , ভাগ্য , কল্যান -অকল্যাণ ,
নতুন যুগপযোগী বৈজ্ঞানিক আবিস্কার কি পূর্ব নির্ধারিত ? কোরআন কি বলে ?
প্রান প্রিয় মানব সমুদয় ,
আমি কোরআনের আলোকে আমার আক্বলের বিচারে চিন্তা করে কিছু লিখা-লিখি করি । অনেকেরই বেশ ভাল সাড়া পাই এবং আনুপ্রানিত হয়ে লিখার চেষ্টা
অব্যাহত রেখেছি , যদি মানুষ এর দ্বারাও কোন উপকার বা হেদা্য়াত প্রাপ্ত হয় ,
হয়ত আমরা বেশীরভাগ মানুষ কামিয়াব হবে ইনশাআল্লাহ ।
যদি আমার জ্ঞানের পরিসীমার বাহিরে
কোন ভূল ত্রুটিও হয়ে যায় , আশা করি কমেন্ট করে শুধরিয়ে দিবেন । আমরা সবাই অপেক্ষাকৃত ভালটা সংরক্ষন করব , ইনশাআল্লাহ ।
১। মৃত্যু ও মৃত্যুর সময় কি পূর্ব নির্ধারিত ?
যদি কারো সময় পুর্ব নির্ধারিত হয় তাহলে সেবা নিয়ে লাভ কি ?
সূরা : আনআম -৬/২
প্রানীর মৃত্যু তথা প্রানীর জীবন কাল এক নির্দিষ্ট কাল , অর্থাৎ কোন প্রানী কতদিন বাঁচবে এবং কিভাবে বাঁচবে তা রব্বুল আ’লামীনের পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নির্দিস্ট ।
যার মধ্যে আপেক্ষিক দুর্ঘটনা ও বার্ধক্য জনিত কারনসহ সবই একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পরিজ্ঞাত নয় ।
ঠিক তেমনি কখন সকল প্রানী নশ্বর হবে বা কিয়ামত হবে তাও আল্লাহর প্রগ্রামে নির্ধারিত ।
কিন্তু রহস্যজনক ভাবে আল্লাহ সুবহানু তা’য়ালা কোন মানব কুলের কাছে প্রকাশ করেননি ।
তাই যেহেতু কারো জীবন কাল আল্লাহ ছাড়া
অন্য কারো কাছে নির্দিষ্ট বা নির্ধারিত নয় , প্রানী যখনই অসুস্থ হবে , তখন রোগ বিবেচনায় পরিত্রানের উপায় গ্রহন করতে হবে ।
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেছেন , বার্ধক্য ছাড়া অন্য সকল রোগের ঔষধ আছে । (কিন্তু কার কখন বার্ধক্য আসবে তাও আল্লাহই পরিজ্ঞাত ) ।
কিন্তু মানবকে তা অনুসন্ধান করে বের করতে হবে ।
যেমন করোনা নামক রোগটি নিয়ে আমরা সারা দুনিয়া বাসী বিভ্রান্তির জালে আটকা পরে আছি ।
২। ভাগ্য , কল্যান -অকল্যাণ –
ক) এসবই আল্লাহর প্রগ্রামের অংশ । কিন্তু আমরা বাস্তব জীবনে ভাগ্য , কল্যান -অকল্যাণ নিয়ে অনেকেই শিরক করে থাকি ।
যেমনটি অনেকেই হতাশাগ্রস্থ হলে বলেন , “ আল্লাহ আমার ভাগ্যে রাখেন নি “।
কিন্তু আল্লাহ তো কোন প্রানীর প্রতি বিন্দুমাত্র
যুলুম করেন না বলে অঙ্গীকারাবদ্ধ । তাহলে নিশ্চয় ভাগ্য , কল্যান -অকল্যাণ এর ক্ষতির দিক থেকে আল্লাহকে দায়ী করার কোন কারন তো নেই বরং তা শিরক বলে গন্য নয় কি ???
এক্ষেত্রে প্রশ্ন হল অকল্যাণের জন্য যেহেতু আল্লাহ দায়ী নন, তাহলে কল্যানকর কাজের জন্য আল্লাহ প্রসংসা পাওয়ার উপযোগী কি না ?
উত্তর : নিশ্চয়ই । কারন আল্লাহ তাঁর প্রগ্রাম করে
ভাল-মন্দ , কল্যান -অকল্যাণ সবই আক্বলের মাধ্যমে প্রানী তথা মানবকুলকে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন ।
এটাই মানব কুলের জন্য আল্লাহর দয়া । তাই প্রসংসা পাওয়া অবশ্যই হেতু আছে বৈকি ।
তথাপিও মানুষ আল্লাহর দেয়া আদেশ , উপদেশসহ সকল রহস্য দিয়ে মানবকে আক্বলের মাধ্যমে চিন্তা করতে ও শিক্ষা গ্রহন করা ফরজ করেছেন ।
তাই যদি কেহ প্রকৃত শিক্ষা গ্রহন না করেন ,
সে তো আল্লাহর আদেশই অমান্য করলেন ! অর্থাৎ কুফরী গুনাহ করলেন । সুতরাং শাস্তি নিশ্চিত ।
৩।নতুন যুগপযোগী বৈজ্ঞানিক আবিস্কার কি পূর্ব নির্ধারিত ?
অনেকে হয়ত ধারনা করে থাকেন মানুষ প্রতিনিয়ত নতুন যুগপযোগী বৈজ্ঞানিক আবিস্কার করেই যাচ্ছেন
যা আদি কালে ছিল না কিন্তু দিন দিন নতুন আবিস্কার হচ্ছে ।
তাহলে কি আল্লাহ যাহা কোরআন তথা রাসুলদের মাধ্যমে মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন,
তার থেকে মানুষের আবিস্কার কি যুগোপযোগী নয় ?
উত্তর : দেখুন মানুষ কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু আবিস্কার করার ক্ষমতা অর্জন করবে তাও আল্লাহর প্রগ্রামেরই অংশ ।
যুগের প্রয়োজনে আল্লাহ অলৌকিকভাবে মানুষের মধ্যে
যৌগ্য লোকের মাধ্যমে সেই জ্ঞানের সঞ্চার ঘটান ।
যা কিয়ামত পর্যন্ত চলতেই থাকবে ।
যেমন ধরুন , আদম আ: থেকে শুরু করে অদ্যাবদি দুনিয়ায় প্রায় ৮ শত কোটি লোক আছে ।
যা প্রতিনিয়ত বর্ধনশীল । শুধু তাই নয় , প্রতিটি লোকই অন্যজন থেকে কোন না কোন ভাবে আলাদা ।
আর এরকম যদি আরো ৮০০০ কোটি বা ৮০ লক্ষ্য কোটি লোকও দুনিয়ায় সৃস্টি করেন তাদের নতুন রূপ দিতে, আহার , বাস স্থানের যেমন অভাব হবে না ,
তেমনি সকলের আমল নামা হিসেব রাখতেও অতিরিক্ত হিসাব রক্ষক বা মেমোরি কার্ড কোন কিছুই দরকার হবে না ।
অথচ মানুষ প্রথম যখন কম্পিউটার আবিস্কার করেন তখনকার মেমোরির তুলনায় প্রয়োজনের তাকিদে দিন দিন বাড়িয়ে তুলছেন যা একবারে করতে সক্ষম ছিল না ।
আর এটাই আল্লাহর একক ক্ষমতা ।
তাই মহাবিশ্বে মানব জাতির কর্ম , পরিকল্পনা , গতি প্রকৃতি সঠিক প্রকৃয়ায় পরিচালনার জন্য আল্লাহর শ্রেস্ট জ্ঞানের আধার কোরআন অধ্যায়নের কোন বিকল্প নেই ।
আসুন , কোরআন অধ্যায়ন করি , নিজেকে পরিচ্ছন্ন করে আল্লাহর ডাকে সারা দেয়ার পাথেয় প্রস্তুত করে নেই ।
আমীন ।।
আহমেদ জাফর ।
No comment