ইসলামের / মুসলিমের মান দন্ড বা পাশ মার্ক ।

মান্যবর গবেষক-পাঠক-ভিউ’য়ার্স ,

“আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ “।

আমরা হয়ত সকলেই পরীক্ষায় পাশ মার্ক সম্পর্কে জানি যে আমাদের দেশে বাংলা বিভাগে বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠানের পাশ মার্ক ৩৩% কিন্তু ইংলিশ মিডিয়া সহ অনেক প্রতিষ্ঠানের পাশ মার্ক ৬০% । বৃটিশ আমলে তাদের দেশে পাশ মার্ক ছিল ৬৬% ।

সুতরাং একই ক্লাস পাশ করলেও সকলের মেধা বা জ্ঞান বিকশিত হওয়ার ধরণ কি এক ? নিশ্চয়ই না ।

তাহলে সকল মুসলিমের জ্ঞান ও আমলের স্তর কি এক হবে ? নিশ্চয় না ।

এখন প্রশ্ন হল মুসলিমরা যদি কোন পরীক্ষায় অংশ গ্রহনই না করেন , বা এটাও না জানেন যে

ঠিক কত % মার্ক পেলে তারা আল্লাহর দরবারে মুসলিম হিসেবে পাশ মার্ক পেয়ে গন্য হবেন !

তাহলে কি তারা সকলেই মূর্খের মত পড়াশুনা না করে বলবে আমি পাশ করা মুসলিম ? নিশ্চয়ই তাও আল্লাহর দরবারে গৃহীত হবে না ।

আবার এটাও সবার জানা থাকা দরকার যে, পার্থিব জীবনের একাডেমিক সার্টিফিকেট একবার পেলে তা এহ জীবনের জন্য আর লেপন হবে না ।

কিন্তু মুসলিম হওয়ার জন্য শর্ত প্রতিনিয়ত প্রতিটি মুহূর্তেই আপনাকে পাশ মার্কের উপরে আবস্থান করতেই হবে ।

এমনকি ভূল উত্তরের জন্য সঠিক উত্তরের যেমন মার্ক কাটা হয় ঠিক তেমনি এখানে অসৎ কাজের দ্বারা সৎকর্মের আমলের মান দন্ড কেটে ফেলা হয় ।

এমতাবস্থায় যদি পাশ মার্কের অবস্থান বা মান দন্ড ই না জানি তাহলে নিরুপন হবে কিভাবে ??

জটিলতা হল :

১। আপনার মান আপনাকেই নিরুপন করতে হবে । সূরা -ফাতির , আয়াত নং ১৮ – ২৬ পড়ুন ।

আপনার বোঝা ( পাপ ) অন্য কেহ বহন করবে না , যদি সে নিকট আত্নীয়ও হয় ।

আবার আল্লাহর দৃষ্টিতে যেমন ,

অন্ধ ও চক্ষমান সমান নয় ,

অন্ধকার ও আলো সমান নয় ,

ছায়া ও রৌদ্র সমান নয় ,

জীবিত ও মৃত সমান নয় ,

ঠিক তেমনি মুসলিম – অমুসলিম – কাফির – মুশরিক – মুনাফিক ও সমান নয় ।

আবার সকল মুসলিমের স্তরভেদ ও সমান নয় ।

তাহলে প্রতিদিন আমরা যদি আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে কিছু চেক পয়েন্ট সেট করে নেই , তবে নিজেজের ই বুঝতে সহজ হবে যে আমরা মুসলমান কি না ।

বা হলেও আমার বা আপনার স্তর / Score কত ?

যেমন:

১। কোরআন অধ্যায়ন করতে পারি কি না ?

২। কোরআন অধ্যায়ন করি কিনা ?

৩। কোরআনের আদেশ নিষেধ মানি কিনা ?

৪। সুন্নাহ মিনি কিনা ?

৫। নামাজ সহ অন্যান্য আকিদা মানি কি না ?

৬। কোরআনের দরস্ যারা শিক্ষা দেন তাদের শ্রদ্ধা করি কিনা ।

৭। মু’মিন মুসলিমদের অযথা কষ্ট দেই কি না ?

৮। কষ্ট দিয়ে থাকলে তাৎক্ষনিক তওবা ও ক্ষমা চাই কিনা ?

৯। সমাজে এমন কোন হীন কাজ করি কি না যার দ্বারা অন্য কারো আমল করতে অসুবিধা হয় ?

১০। প্রতিদিন অজানা বা জানা কবীরা গুনাহের জন্য তওবা করি কিনা ?

ইত্যাদি ।

যদি আমরা নিজেরা এটা করি ও অপরকে করতে উৎসাহ দেই , তাহলে হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবী মেসেজ পেয়ে যাবেন যে আপনার স্কোর কত ?

আসুন সবাই চেষ্টা করি । সবাইকে লিংক শেয়ার করে দাওয়াত করার চেষ্টা করি ।

আমীন ।

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *