চিকিৎসা বিধানে কোরআনের সহায়ক ভূমিকা ।

আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ।

গুনি ও মান্যবর ভিউয়ারস,

আমরা হয়ত অনেকেই জানি , আল্লাহ রব্বুল আলামীন মানব সৃস্টির আগে ৭ স্তরের আসমান, রাত-দিন ও তার পর পৃথিবী সৃস্টি করেছেন ।

তার পর মেঘমালার মাধ্যমে পানি বর্ষনের ব্যবস্থা করে তৃন মূল , ফল ফলাদি তৈরী করে পৃথিবীতে মানবের আগমন ঘটান ।

সূরা নাযিয়াত : আয়াত ২৭-৩৩ ।

তাহলে বুঝা যায় আল্লাহ এতটাই দূরদর্শি যে মানব সৃষ্টির আগে তাঁর খাবার ও প্রয়োজনীয় জীব- জড় সবই সৃস্টি করেছেন ।

এছাড়াও বিভিন্ন আয়াতে আমরা দেখতে পাই মানবের সাময়িক সুবিধা -অসুবিধা , অসুস্থতার জন্য গাইড লাইন দেয়া আছে ।

যা মেডিকেল সায়েন্স আবিস্কার বা Develop করার আগে কোরআন , সুন্নাহ ও আক্বল দিয়েই মূলত : মানুষ শিফা বা আরোগ্যের জন্য ধারনা নিয়ে কাজ করত ।

কিন্তু দিন যতই গড়াতে লাগল মেডিকেল সায়েন্স ততই

ডেভেলপ করতে লাগল । তবে মনে হচ্ছে আল্লাহর দেয়া আছলী জ্ঞান বা কোরআন , সুন্নাহর জ্ঞানের ব্যবহারে তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে ।

অথচ এখন ও কোন কোন রোগের চিকিৎসা মেডিকেল সায়েন্স করতে ব্যার্থ হলে তখন আছলী জ্ঞানের চিকিৎসার নিমিত্তে কোরআন অধ্যায়েনে পারদর্শী কোন স্কলারদের কাছে তারা স্বরনাপন্ন হয় ।

যাদের সায়েন্স বা বৈজ্ঞানিক কোন ধারনা নেই বললেই চলে ।

ফলে তাদের দ্বারা বিশ্বাস ছাড়া আর কোন বাস্তবিক চিকিৎসা আশা করাও বোধ হয় অনুচিত ।

আমার প্রশ্ন এখানেই যে ,

১। ইবলিস কি তাহলে মানব জাতীকে কোরআনের আছলী চিকিৎসা থেকে দুরে রেখে এখন শুধু Medical science এর উপরে নির্ভর করাল ?

২। ঔষধ প্রস্তুতিতেও শুধুমাত্র Pharmaceutical Theory Apply করতে গিয়ে Side Effect সহ নানা জটিলতায় ভুগতেছি ?

যদি তাই হয় , তাহলে মানুষের কোন দুর্বলতার জন্য ইবলিস এই সুযোগটা নিতে পারল ?

আমার ধারনা :

১। যারা ইসলামী জ্ঞান চর্চায় নিমগ্ন তারা Medical science পড়ার সুযোগ পাননি ।

২। আবার যারা Medical science পড়ছেন তারা

কোরআন ও সুন্নাহ অধ্যায়নের সুযোগ পাননি ।

আপনাদের কোন ভিন্ন বা সম্পুরক মতামত থাকলেও জানাবেন / কমেন্ট করবেন ।

এবার তাহলে করনীয় কি ?

১। অধ্যায়নের বিকল্প নেই ।

২। সকল পর্যায়ে কোরআন , সুন্নাহ ও বিজ্ঞান বাধ্যতামূলেক করা হোক ।

৩। শিক্ষক ও সাধারন জনগন যে যে অবস্থায় আছেন

সকলের জন্য কোরআন ও সুন্নাহ শিক্ষার বিভিন্ন কৌশলগত শিক্ষা কোর্স চালু করা হোক ।

৪। সরকারী অনুদানের ব্যবস্থা করা হোক ।

৫। সকল শিক্ষকদের ন্যায় সংগত ভাবে মর্যাদা দেয়া হোক ।

আশা করি বিশ বছরের টার্গেট নিলে সারা বিশ্ব বৈশ্বিক উন্নতি লাভ করবে , ইনশাআল্লাহ ।

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *