আল্লাহ , কোন জান্নাতি পোষাক নাযিল করার কথা বলেছেন? জ্ঞানহীন পাগলের, পোষাক পড়ার মত কি জ্ঞান থাকে ? শয়তান মানুষের আদি পিতামাতাকে কিভাবে উলঙ্গ করছিল ?

প্রিয় ইহলৌকিক জীবনের সহযাত্রীবৃন্দ ,

‎السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

জান্নাতি পোষাক বলতে আল্লাহ যাহা ,

সূরা : আ’রাফ ৭/২৬ নং আয়াতে বলেছেন , তা হল,

“ হে বনী আদম !

তোমাদের লজ্জাস্থান

ঢাকিবার ও বেশ-ভূষার জন্য আমি তোমাদিগকে পরিচ্ছদ দিয়েছি এবং তাকওয়ার পরিচ্ছদ । ইহাই

সর্বোত্তম । ইহা আল্লাহর নিদর্শণসমূহের অন্যতম । যাহাতে তাহারা উপদেশ গ্রহন করে “।

কোরআনের এই আয়াতের সরাসরি বাংলা অর্থ উপরে দেয়া হল । কিন্তু কোরআনে মৌলিক অর্থ ও তাৎপর্য বুঝার জন্য আমি আমার আক্বল দ্বারা কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দ চয়ন বিশ্লেষণ করব । আমি আশা করি সারা দুনিয়ার ইসলামী স্কলার, মুফাস্সিরগন এটা নিয়ে একটু গভীরভাবে চিন্তা করবেন ও মতামত শেয়ার করবেন।

১।

“ يبنى ادم قد أنزلنا عليكم لباساَ

হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ নাযিল করেছি “

যদি এই “লেবাস “ শব্দ দ্বারা সাধারণ পোষাক বুঝাতে চাইতেন তাহলে তিনি (আল্লাহ ) নাযিল শব্দটি ব্যবহার না করলেও পারতেন । কারন

সাধারণ পোষাক আসমান থেকে নাযিল হওয়ার কোন রেওয়ায়েজ নেই । নাযিল হয় বানী ,

আদেশ -উপদেশ ।

২। ولباس التقوى

তাকওয়ার পরিচ্ছদ – দ্বারা কিছুটা পরিস্কার ধারনা পাওয়া যায় যে , তাকওয়ার পরিচ্ছদ মানে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মানার তাকওয়া বা আল্লাহ সচতনতার জ্ঞান নাযিল করেছেন ।

৩। “ ইহাই সর্বোৎককৃষ্ট । ইহা আল্লাহর নিদর্শণসমূহের অন্যতম । যাহাতে তাহারা উপদেশ গ্রহন করে “

এই অংশ দ্বারা আরো স্পস্ট যে তিনি সাধারণ পোষাক- পরিচ্ছদ না বুঝিয়ে জ্ঞানের পোষাক বুঝাইতে চেয়েছেন ।

কারণ যার জ্ঞান নেই তার লজ্জাও নেই এবং সে লজ্জাস্থানের ক্বদর , সন্মান , ঢেকে রাখার ইচ্ছা বা প্রয়োজনীয়তা কিছুই উপলব্দি করে না বিধায় আমরা পাগলকে বেশীরভাগ উলঙ্গ ই দেখি ।

৪। প্রসংগত আমরা দেখতে পাই একটি মাদ্রাসা ছাত্র যার মধ্যে নূ্ন্যতম কোরআনের জ্ঞানবোধ আছে , তার তুলনায় একটি স্কুলের ছেলের তুলনা করলে দেখা যায় জ্ঞানের পোষাকে মাদ্রাসার ছেলেরা আবৃত বিধায় লজ্জা তাদেরই বেশী ।

৭/২৭

“ হে বনী আদম ! শয়তান যেন তোমাদিগকে কিছুতেই প্রলুব্ধ না করে – যেভাবে

তোমাদের পিতা-মাতাকে সে জান্নাত হইতে বহিস্কৃত করিয়াছিল, তাহাদিগকে তাহাদের লজ্জাস্থান দেখাবার জন্য বিবস্ত্র করিয়াছিল ।

সে নিজে ও তাহার দল তোমাদিগকে এমনভাবে দেখে যে ,

তোমরা তাহাদিগকে দেখিতে পাও না । যাহারা ঈমান আনে না , শয়তানকে আমি তাহাদের অভিভাবক করিয়াছি “।

১। *** শয়তান মানুষের আদি পিতামাতাকে তথ্য সন্ত্রাসের মাধ্যমে আল্লাহর দেয়া আদেশ -উপদেশ ভুল বুঝাইয়া জ্ঞানের পোষাক খুলে জান্নাত থেকে বের করার ব্যবস্থা করেছিল ।

কিন্তু ইবলিসকে আল্লাহ সুবহানু তা’য়ালা মানুষের গায়ে হাত দেয়া এমনকি স্পর্শ করার ক্ষমতাও দেন নাই ।

২। শয়তান ও তার দল মানুষকে দেখতে পায় কিন্তু মানুষ শয়তানকে সরাসরি দেখতে পায়না বিধায় , শয়তানের অপকৌশল থেকে পরিত্রানের জন্য , আল্লাহর স্বরনাপন্ন হ’তে হয় ।

সতরাং শয়তানের দৃষ্টির সাপেক্ষে মানুষ দৃষ্টি শক্তিহীন । তাই শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রুও নয় তবে চীর শত্রু বলে মানতেই হবে ।

এর পরও যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান না এনে বরং শয়তানের বা তাদের আক্বীদা অনুস্বরণ করে তাদেরকে আল্লাহ নিজেই তার অভিভাবকত্বের দায় ভার না নিয়ে শয়তানকে তাদের অভিভাবক করার ঘোষনা করে দিলেন ।

আফসুস লাগে মানবজাতি এই গুরু রহস্য টুকু আজিও উপলব্দি করতে পারেন নি !!!

আল্লাহ আমাদের সকলকে কোরআন অধ্যায়ন করার তৌফিক দিন ও যাদেরকে তিনি মনোনীত করেন , তাদের কে কোরআন নিয়ে গভীর চিন্তা করার ব্যবস্থা করে দিন ।

আমীন ।।

আহমেদ জাফর

বি: দ্র : দয়া করে আমার পেজের

পোষ্টগুলো

পড়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করে মূল্যায়িত করবেন । আপনার একেকটি কমেন্ট শয়তানের বিপক্ষে জ্ঞানের

কৌশলে জয়ী হওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে স্বাক্ষী হিসেবে পরিগনিত হবে ইনশাআল্লাহ ।

আমার পেজের লিং :

https://www.facebook.com/researchonislam/

আমার

Website: www.anhuibest.net

ভিজিট করে Blog এ ও

পোষ্টগুলো পড়তে

পারবেন এবং রীতিমত শেয়ার করে

অন্যকে

পড়ার সুযোগকরে দিন ।

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *