আল্লাহ সচেতনতা বা মুত্তাক্বি কি শুধুই ব্যাক্তিগত আমল – আচারণ না কি সামাজিক বা রাষ্ট্রীয়?

মতামত :

প্রিয় ইহলৌকিক জীবনের সহযাত্রীবৃন্দ ,

‎السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

ধারণকৃত ছবি একটি প্রতীকি ছবি দেখানো হয়েছে ।

প্রশ্ন হচ্ছে :

০১। আমরা দেখলাম সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কিভাবে করোনা মুত্তাক্বী হওয়ার ব্যাবস্থা করা হল ?

কিন্তু সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা কেন আল্লাহ সচেতন বা সত্যিকার মুত্তাক্বী হতে পারলাম না ?

০২। করোনার প্রকোপ শুরুর পর ( ডিসেম্বর ২০১৯ ) থেকে অদ্যাবদি বহুমাত্রিক অদৃশ্যমান মতামত শুনলাম ও সারা দুনিয়ার মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে আমল করল বা কেহ কেহ বাধ্য হল ।

আবার বহুমাত্রিক মতামত বিলুপ্তও

হল যা নিত্যান্তই অযৌক্তিক মনগড়া বা অনুমান নির্ভর ও সর্বপরি পরস্পর বিরোধী মন্তব্য ।

যেমন বলা হয়েছিল , করোনার গতি , প্রকৃতি

বা কোন পদার্থের সংস্পর্শে কতক্ষন জীবিত থাকতে পারে । বস্তুত : তা এখনও কোন স্থির সিদ্ধান্তের রূপ নিতে পারে নি ।

পক্ষান্তরে আল্লাহর নাযীলকৃত কোরআনের কোন একটি সংলাপও সারা দুনিয়ার মানুষ শত চেষ্টা করেও অযৌক্তিক , পরস্পর বিরোধী বা

সাংঘার্ষিক প্রমান করতে সক্ষম হয়নি ও হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই ।

তার পরেও সারা দুনিয়ার মানুষ যেন এখনও করোনার নাম শুনলেই আতকে উঠে তথা করোনার প্রতি সচেতন বা মুত্তাক্বি হতে বিভোর।

কিন্তু মহান স্রস্টা রব্বুল আ’লামীন যিনি করোনারও স্রস্টা তাঁর প্রতি কেন সচেতন বা মুত্তাক্বী হতে পারল না ?

০৩। দৃশ্যমান ছবিটি প্রতীকি হলে সারা বিশ্বে যেন একই রুপ পরিলক্ষিত হচ্ছে । করোনার সচেতনতার জন্য কি মাস্ক ব্যাবহার করা হয় ? না কি লোক, লজ্জা , প্রশাসনিক কর্তাদের লান্ছনার জন্য আত্নসন্মান জনিত সচেতনতা , ভয় বা তাদের প্রতি মুত্তাক্বি হওয়ার বাহানা দেখানো ?

০৪। সারা দুনিয়ায় প্রতিনিয়ত ধুমপানের মাধ্যমে নিকোটিনসহ বিভিন্ন প্রকার বিষাক্ত বায়ু দূষণ কি করোনার চেয়েও মারাত্বক ঝাঁকিপূর্ণ নয় ?

কিন্তু তার জন্য কি কোন পূর্ব পরিকল্পনা , সচেতনতা বা মুত্তাকি হতে দেখি ? এটা কি এক ধরনের নির্বোধের প্রহসন নয় ?

০৫। মানুষ আল্লাহর দেয়া অতাৎক্ষনিক ব্যবস্থাপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় কারণ , কোরআন পড়ে না , জানে না বিধায় সচারাচর মনে রাখে না ।

তা ছাড়া সমাজিক বা রাষ্ট্রীয়ভাবে ও তা পালন করা হয় না । একটু ভাবুন

রাষ্ট্রীয়ভাবে মানুষের রচিত বই পড়ে মানুষ সভ্যতা , সংস্কৃতি ও জীবন পরিচালনা করে আসছে ও তা চলমান ।

কিন্তু কেন মানুষ আল্লাহর রচিত কোরআন দিয়ে জীবন পরিচালনা কেন করতে পারে নি ??

মহা প্রতারক ইবলিস কি মানুষের জ্ঞানের পোষাক খুলে দেন নি ? নিশ্চয়ই !

তাহলে সেই জ্ঞানের পোষাক পড়ানোর দায়িত্ব কে নিবেন ? ব্যাক্তি , সমাজ , দেশ না কি জাতি ?

প্রশ্নগুলো বিদ্যান ব্যাক্তিদের মতামতের জন্য ঊন্মুক্ত করা হল। যে কেহ যৌক্তিক ও জ্ঞানগর্ব মতামত প্রদান করতে পারেন ।

পরিশেষে বলব , আমরা কোরআন পড়ি , বুঝি ও কোরআনমুখী হয়ে আমল করলে বিতর্কের ঊর্ধে থেকে আল্লাহর সন্তষ্টির লাভ করার দাওয়াত রইল ।

আমীন ।।

আহমেদ জাফর

Note : Please read it carefully and drop your personal valued comment , share and invite to your friends in order to focus up the human nation .

https://www.facebook.com/researchonislam/

Just visit this link , like it , start reading everyday when you get free .

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *