কিভাবে জ্যামিতিক প্রকৃয়ায় কোরআন শিক্ষা ও আমল দ্রূত সম্পরসারন করা সম্ভব ?
প্রিয় ইহলৌকিক জীবনের সহযাত্রীবৃন্দ ,
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
আমরা অনেক সময়েই বলে থাকি জ্যামিতিক প্রকৃয়ায় বিস্তার , গানিতিক প্রকৃয়ায় বিস্তারের চেয়ে দ্রূত তর ছড়ায় ।
আবার অনেক বলেন , দু:সংবাদ বাতাসের আগে বা সুসংবাদের চেয়ে দ্রুততর ছড়ায় ।
অপরদিকে বলা যায় ইবলিসের কৌশল আলেমদের থেকে অধিক সম্প্রসারণযোগ্য । আর তা না হলে , দিন দিন কেন বেশী মানুষ ইবলিসের পদাঙ্কানুসরন করে?
আমরা কোরআন থেকে জানি , “ নামাজ অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে “ ।
এখন একটি সাধারন মনস্তাত্বিক জরিপ করে ফেলি ।
ধরুন বিগত ২০ বছরের জরিপ করলে দেখা যাবে ২০ বছর আগে যে পরিমান মসজিদ ছিল ও যে পরিমান নামাজি নামাজ আদায় করত , তার চেয়ে বর্তমানে ( ২০ বছর পরে) এসে মসজিদের সংখ্যা ও নামাজির সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যা সর্বমোট জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় অনেক বেশী ।
তাহলে আল্লাহর উপরের আয়াত অনুসারে সমাজে অশ্লীল কাজের পরিমানও কম থাকার কথা ছিল ।
কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখি ?
অশ্লীল কাজের পরিমান % ২০ বছর আগের তুলনায় কয়েকশত গুন বেড়ে গেছে ।
তাহলে তার কারন কি ? একটু চিন্তা করি ও সংক্ষেপে একটু তুলে ধরি :
১। লোক দেখানো নামাজির সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু নামাজ থেকে প্রকৃত শিক্ষা নেয়ার প্রকৃয়া চালু না থাকায় মানুষ হেদায়েত হচ্ছে না ।
পক্ষান্তরে ইবলিস তার কার্যক্রম জ্যামিতিক প্রকৃয়ায় প্রচার করে অধীক মানুষকে কোরআন / সালাতের শিক্ষা থেকে দুরে সরিয়ে রাখছে ।
২। নামাজ কবুল হওয়ার শর্ত পালন করে নামাজ আদায় করা হয়না বিধায় নামাজে একাগ্রতা থাকে না । শিক্ষা কার্যকরী হয় না ।
পক্ষান্তরে ইবলিস সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অধীক মানুষ পথভ্রষ্ট করে রাখে ও নামাজ থেকে একাগ্রতা সরিয়ে নেয় ।
৩। নামাজের পরে মিলাদের দাওয়াত দিলে বা কোন কিছু দেওয়ার প্রলোভন দিলে অধিক নামাজি পাওয়া যায় যা সচারাচর নামাজির তুলনায় বেশী ।
পক্ষান্তরে ইবলিস তো সবসময়েই এভাবে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নামাজ ও কোরআনের অধ্যায়ন থেকে মানুষকে দুরে রাখছে ।
তাই এহেন পরিস্থিতিতে মানব কল্যানের জন্য কোন জ্যামিতিক প্রকৃয়ায় প্রচার ও সম্প্রচার করলে দ্রূততম সময়ের মধ্যে অধিক পরিমান মানুষ কোরআনের প্রকৃত শিক্ষা পেয়ে , মহান রব্বুল আ’লামীনের নৈকট্য লাভ করতে পারে । সেটাই আলোচ্য বিষয় ।
নিচের দুই ধরনের আম গাছের ছবি প্রদর্শিত করা হল । ১ম বড় গাছটি যদি যথেষ্ট পরিমান সার , পানি ও ঔষধ প্রয়োগ করা হয় , তা থেকে হয়ত গানিতিক প্রকৃয়ায় আমের ফলন বাড়ানো যেতে পারে ।
যেমন ধরি এ বছর ১ টন আম ধরলে , আমরা যথেষ্ট পরিমান সার , পানি ও ঔষধ প্রয়োগ করে আগামী বছর হয়ত গানিতিক হারে ১০০০ কেজি * ৩ = ৩টন আম পেতে পারি ।
তার পর এক সময়ে আস্তে আস্তে ফলন কমে যাবে ।
কিন্তু ২য় ছবিতে দেখানো , এক গাছের এক ধরনের আমের উপর ভিত্তি না করে , ছোট ছোট বিভিন্ন ধরনের ও প্রজাতির গাছ লাগালে এ বছর ধরি ১০ টি গাছ দিয়ে ১০০ কেজি করে মোট ১ টন আম পাই , যথেষ্ট পরিমান সার , পানি ও ঔষধ প্রয়োগ করে আগামী বছর জ্যামিতিক হারে
১০ * ১০০*১০ কেজি বা ১০ টন আম পেতে পারি এবং তা দীর্ঘদিন পেতে থাকব ।
তার মানে হলে এক জন আলেমের / শিক্ষকের উপরে নির্ভর না করে শিক্ষা ব্যাবস্থা এমনই করতে হবে যাতে প্রত্যেক বাবা -মাই তাদের সন্তানদের জন্য কোরআন শিক্ষার শিক্ষক হতে পারেন ও জ্যামিতিক প্রকৃয়ায় বিশ্বময় এই প্রকৃয়া চালু হলে সারা দুনিয়ার মানুষ উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ ।
১ম শ্রেনী থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী পর্যান্ত কোরআন শিক্ষার একটি সাবজেক্ট সকল মানুষের জন্য বাধ্যতামূলক করা এখন সময়ের দাবী ।
আমীন
আহমেদ জাফর ।
No comment