কোন শিক্ষা মানব জাতির মেরুদন্ড ?

প্রিয় সহযাত্রীবৃন্দ ,

‎السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

আমরা অনেকেই জানি বা শুনে আসছি

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড । কিন্তু কখনও হয়ত

গভীরভাবে ভেবে দেখা হয়নি

“কোন শিক্ষা মানব ( মানবীয় গুনের শর্ত পূরণ করা সম্পন্ন মানুষ) এর মেরুদন্ড ।

বলাবাহুল্য ইবলিসের শিক্ষাও শিক্ষা যার দ্বারা একটি বৃহৎ জনগুষ্ঠি ইবলিসের তাবেদার বা দাসত্ব করে জীবন পরিচালনা করে ।

সূরা : নিসা – ৪/১১৮

وقال لاتخذت من عبادك نصيبا مفروضا

আল্লাহ পাকের লা’নতের প্রতি উত্তরে

ইবলিস বলল, “ আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের এক নির্দিষ্ট অংশকে আমার অনুসারী করিয়া লাইব “।

এখন কথা হল মানব জাতির প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে মূল জ্ঞানের উৎস :

১। আক্বল – অপ্রমানিত Common Sense .

২। কোরআনের জ্ঞান ও

৩। হাদীসের জ্ঞান যা কোরআনের সহায়ক বিশ্লষণ ।

এই মূল জ্ঞানের আধার ব্যাতিরেকে পার্থিব জীবনের অন্য জ্ঞান আগে লব্দ করলেই ইবলিস সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে , তাকে তার অনুসারী কবার চেষ্টা করে ও সফল হয় ।

কিন্তু আগে যারা কোরআনের জ্ঞান লাভ করে ও আমল করে , ইবলিস তাদেরকে তার অনুসারী করার সুযোগ পায় না ।

সূরা নিসা – ৪/১০৫

أنا أنزلنا إليك الكتاب بالحق

আল্লাহ নবীর প্রতি সত্য সহ কিতাব ( কোরআন নাযিল ) করেছেন ।

لتحكم بين الناس بما اراك الله

যাহাতে নবী মানুষের মধ্যে বিচার মিমাংসা করে দেয়, আল্লাহ যেভাবে তাঁকে ( নবী কে ) দেখাইয়াছেন বা জানাইয়াছেন ।

অর্থাৎ নবীর অবর্তমানে কোরআন মানুষের মধ্যে ন্যায় সংগতভাবে বিচার মিমাংসার স্পস্ট দলিল ।

ولا تكن للخاىنين خصيما

এবং বিশ্বাস ভঙ্গকারীদের সমর্থনে তর্ক করিও না ।

এখন দেখুন বাদী -বিবাদীর দুই উকিল কিন্তু নিশ্চয়ই জানেন কে বিশ্বাস ভঙ্গকারী , কে মিথ্যাবাদী , কে দোষী ইত্যাদি । সতরাং সেই উকিল যিনি তার মক্কেল দোষী জেনেও তার পক্ষে তর্ক করল বা কেস হাতে নিল , সে স্পস্টই আল্লাহর বিধান কোরআন অস্বীকার করল ।

সুতরাং তিনি নিজেও জাহান্নামী এবং প্ররোচনা করে তার মক্কেল সমুদয়কেও জাহান্নামী করতে সহায়তা করল ।

সূরা নিসা – ৪/১০৮-১০৯

দোষী ব্যাক্তি লজ্জায় বা ভয়ে মানুষ হইতে নিজের দোষ গোপন করলেও আল্লাহর দৃষ্টি ফাঁকি দিতে পারে না ।

ইহারা ইহজীবনে একে অপরের পক্ষে ( সত্যের বিপক্ষে ) বিতর্ক করে কিন্তু কিয়ামতের দিন কে তাদের পক্ষে আল্লাহর সন্মুখে বিতর্ক করার উকিল হবে বা শক্তি রাখে ???

এসবই আল্লাহ পক্ষ হতে অবতীর্ণ হওয়া কোরআনের মৌলিক শিক্ষা । যাহা না জানলে

১। কোন জাতি তার মানব হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না ।

২। সেই জাতি বিপর্যস্থ হবে যারা কোরআন থেকে শিক্ষা নেয় না এবং তা অশ্বীকার করে ।

৩। ইবলিসের শিক্ষায় শিক্ষিত মানব তার পরিচয় হারিয়ে ইবলিসের অনুসারী ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না ।

৪। সুশিক্ষা ছাড়া কু-শিক্ষায় গড়ে উঠা মানব , সত্যিকারের মানবীয় গুনে গুনান্বিত হয় না ।

সুতরাং প্রত্যেক মানবের প্রতি আহবান ,

১। ভুল থেকে শিক্ষা নিন ।

২। পিতা-মাতা , পূর্ব পুরুষ ভুল করলে তাদেরকেও সু-শিক্ষায় শানিত করুন ।

৩। ভুমিষ্ট হওয়া ও ভুমিস্টতব্য সন্তানের জন্য প্রথমেই কোরআনের সু-শিক্ষা নিশ্চিত করুন , তার পরে পার্থিব জীবনের প্রয়োজনীয় সকল শিক্ষায় শিক্ষিত করে পরিপূর্ণ মানুষ করে তুলুন ।

প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অনুশোচনা করুন , তওবা করুন । “আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল ও দয়ালু “।

পরিশেষে সবাই এক বাক্যে স্বীকার করে নেই , “আল্লাহ পাকের নাযীলকৃত কোরআনের শিক্ষাই মানব জাতির মেরুদন্ড “।

আমীন।।

আহমেদ জাফর

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *