আল্লাহর হাদীসের / বিধানের পরিপন্থি বিচার কার্য মানবতার জন্য কতটা অন্তরায় ? কোরআনের পরিপন্থি মানব রচিত বিচারিক আইনের দায় ভার কার?
বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন : আল্লাহর হাদীসের / বিধানের পরিপন্থি বিচার কার্য মানবতার জন্য কতটা অন্তরায় ? কোরআনের পরিপন্থি মানব রচিত বিচারিক আইনের দায় ভার কার ?
প্রিয় মানবজাতি ,
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
একথা অনস্বীকার্য যে ,
আমরা মানবজাতি ভূল-ত্রুটির উর্ধে নই ।
ভুল উৎসে করলে শুরু , শুধরানোর রাস্তা কই ?
মানব চক্রের জীবন বিধান ,
সব কিছুরই দেয় সমাধান ।
প্রমানিত সত্যে কোরআনের চেয়ে সত্য বিধান দুনিয়াতে আর কী হতে পারে ? যেমনটি সূরা নিসা – ৪/৮৭
“ আল্লাহ , তিনি ব্যাতীত অন্য কোন ইলাহ নেই ; তিনি
তোমাদিগকে ( সকল মানবকুলকে )
কোন সন্দেহ ব্যাতিরেকে কিয়ামতের দিন একত্র করবেনই । আল্লাহ অপেক্ষা কে অধিক সত্যবাদী ?
বালা বাহুল্য আল্লাহর বিচার কার্য ও দুনিয়াতে
মানবের বিচার কার্যের প্রধান পার্থক্য হল ,আল্লাহর বিচারে কোন স্বাক্ষী , প্রমান ও ভিন্ন ভিন্ন বিচারক নয় বরং একক সিদ্ধান্তে নির্ভুল প্রমান ( আল্লাহর দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে কোন কিছুই সংঘঠিত হতে পারে না ) স্বাপেক্ষে বিচার কার্য সম্পাদনের প্রতিশ্রুতি বদ্ধ বিধায় স্বচ্ছতার মানদন্ডে কোন বিচ্যুতির নূ্ন্যতম সম্ভাবনা নেই ।
পক্ষান্তরে দুনিয়ার বিচারিক আদালতে স্বাক্ষী , উকিল ও বিচারক ভিন্ন ভিন্ন বিধায় বিচার কার্যে প্রভাবিত হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার ।
তাই প্রশ্ন হল স্বচ্ছতার মানদন্ডে যার ভিত্তি নেই ,
সেই ভূল উৎসের মান দন্ডে নিরূপিত বিচার কার্য কি আদৌ স্বচ্ছতার মান দন্ডে সর্বজন গৃহীত হবে?
নিশ্চয়ই না । তাহলে ভূল উৎসের উপর নির্ভর করে মানব জাতি সারা দুনিয়ায় যত আইন করেছে তা কি অনুমাননির্ভর যুক্তি দ্বারা রচিত হয়নি ?
তা কি তাহলে মানবতার অন্তরায় নয় ?
অনেক সময় দেখা যায় , কোন দেশের প্রেসিডন্ট মানব রচিত আইনের ফলে , তার নিজ্বস্ব ক্ষমতাবলে , মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীকেও বেকসুর খালাশ দিতে পারেন ।
কিন্তু প্রসিডন্টের সেই ক্ষমতা কি আল্লাহ স্বীকৃত ?
সেটাও কি তাহলে মানবতার জন্য হুমকি নয় ?
বাস্তব ক্ষেত্রে মানব রচিত কোন আইন , মানব জীবনে যে কোন সময়ে কারো জন্য সুফল এবং কারো জন্য কুফল বয়ে আনবে ও পরস্পর সাংঘর্ষিক হবে এটাই স্বাভাবিক । তাহলে তা কি মানবতার জন্য হুমকি নয় ?
পক্ষান্তরে মানব যদি কোরআনের হুকুমাতকে আসল বিচারের মানদন্ড হিসেবে ধরে নিয়ে , বিচারিক আইন প্রনয়ন করত , তাহলে নিশ্চয়ই বিচার কার্যে স্বচ্ছতা পেত ।
তাহলে প্রশ্ন হল , প্রচলিত নিয়মে কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক বিচারিক আইন বলবৎ রাখা হলে , সেই দায় কি বিচারক ও বিচার কার্যে প্রভাবিত করার ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাক্তি বর্গ কি আল্লাহর সন্মুখে দাড়ানোর সৎসাহস পাবেন ?
তারা কি শেষ বিচারে পার পাবেন ?
যারা এই অন্যায় বিচারের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে , তাদের কি ক্ষতিপূরণ দেয়ার ক্ষমতা রাখে ?
সতরাং সকল মানবজাতির প্রতি আহবান কোরআনের বিচারিক আইনজ্ঞ , পার্থিব জীবনে হিকমত ওয়ালা ব্যাক্তি বর্গ সমন্বয়ে স্বচ্ছ বোর্ড গঠন করে অসংগতিপূর্ণ আইন সংশোধন করে নতুন সংস্কারন করুন । নিজেরা বাঁচুন ও পরবর্তি বংশধরদের জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচান ।
আইন যেহেতু শুধু বিচার কার্যে ব্যবহার্য নয় বরং সাধারণ মানুষকে হেদায়েতের পথে চলার শিক্ষা দেয় , যাতে মানুষ সংশোধিত হতে পারে , তাই সঠিক প্রমানিত দালিলিক আইন সাধারণ মানুষের জ্ঞানলব্ধ করার প্রয়াশ অব্যাহত রাখা হোক ।
তাই আসুন কোরআন অধ্যায়নের জন্য এক প্রবল দৃষ্টান্ত স্থাপন করি ও কোরআনের আইন মেনে চলি ।
তাহলে দেশ ও জাতিভেদে বিচারিক আইনের অন্তরায় কমে আসবে , ইনশাআল্লাহ ।
আর সেটাই হবে মানবতার এক ঊজ্বল দৃষ্টান্ত ।
আমীন ।।
আহমেদ জাফর
No comment