রসূল আগমনের ধারাবাহিকতা ও রাসূলদের সাথে কিরূপ ব্যাবহার করা হত ?

সূরা -বাকারা , আয়াত : ৮৭

ولقد اتينا موسى الكتاب ….

افكلما جاه كم رسول بما لا تهـوى….

আল্লাহ পাক মূসা আ: এর উপর কিতাব তাওরাত নাযিল করার পর পর্যায়ক্রমে রসূল গনকে

মু’জিযা সহ প্রেরন করিয়াছেন । ( এবং যাকে যেভাবে প্রয়োজন সেরকমই স্পস্ট প্রমান / মু’জিযা দিয়ে পাঠিয়েছেন ) ।

ঈশা আ: কে স্পস্ট প্রমান / মু’জিযা , روح القد س

রুহুল কুসুস ( পবিত্র আত্না ) দ্বারা শক্তিশালী করে পাঠিয়েছেন ।

এর পরও যখনই কোন রসুলের কাজ কর্ম বা মু’জিযা তাদের ( ইহুদী তথা অবিশ্বাসী ) পছন্দ না হত তখনই রসূলদেরকে

মিথাবাদি , যাদুকর বলে অহংকার ও তিরস্কার করত এবং কতককে হত্যাও করত ।

সুতরাং এরই ধারাবাহিকতা বর্তামনযুগেও বিদ্যমান ।

যারাই কোরআনের দলিল নিয়ে মানুষকে হেদায়েতের জন্য , অরাজকতা থেকে সৎ পথে আনার জন্য উদ্দোগ নেয়া হয় , তখনই তারা একশ্রেনীর প্রভাবশালীদের কুনজরে পড়ে যান ।

২/৮৮

وقالوا قلوبنا غلف ..

তারা বলত তাদের হৃদয় ( দুনিয়ার লোভ, লালসা , কুমতলব, ক্ষমতার অহংকার দ্বারা ) আচ্ছাদিত , বিধায় রসূল গন যাহাই সত্য নিষ্ঠ কিতাব / প্রমান হাজির করুক না কেন , তাদের অন্তরে তা স্থান পায় না ।

২/৮৯।

খায়বারের ইহুদিরা বনু গাতফানের সাথে প্রায়শ : যুদ্ধে হেরে গিয়ে , আল্লাহর রসূল মু: স: আগমনের পূর্বেই তাকে স্বরন করে দোয়া করত ও মনস্থির করত তারা নবীর আগমনের পরে তাকে মেনে নিবেন ।

এবং ততপরবর্তী যুদ্ধে তারা জয়লাভ করত ।

কিন্তু নবীর আগমনের পরে তারা তা অস্বীকার করত ।

২/৯০

তারা তাদের আত্মার বিশ্বাস বিক্রি করার ব্যবসা

করত যা কতই না নিকৃষ্ট । উল্টো তারা জিদ করত কারণ তাদের ধারনা ছিল , রসূলের আগমন হবে

তাদের ইহুদীদের মধ্য হতে । সতরাং তাদের ক্রোধের মাত্রা বেড়েই চলত ।

২/৯৪-৯৬।

ইহুদিরা মনে করত জান্নাতে কেবল তারাই প্রবেশ করবে অন্যরা নয় । আবার এটাও কামনা করত দুনিয়ায় তারা হাজার বছর বাঁচবে।

আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন তাদের শর্ত দিলেন তাহলে তোমরা ( জান্নাতের আশায় ) এখনই মৃত্যু কামনা কর । কিন্তু তারা কোন শর্তে আবদ্ধ হতে ভয় পেত ।

এতদ সংক্রান্ত আয়াতের সার সংক্ষেপ এজন্যই উল্লেখ করা হল যাতে মানুষ একটু তুলনামূলক চিন্তা করে , ইহুদিদের দোষররা এখনও দুনিয়ায় একই রকম চিন্তা কাজ ও চক্রান্ত করে আসছে এবং

ম: স: এর উম্মতদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে ।

কিন্তু তারা তাদের শেষ পরিনতি জানে না ।

তাই আমাদের লক্ষ দুনিয়ার সকল মানুষ যদি এই ভূল উপলব্দি করতে পারত এবং প্রত্যেকেই স্ব-স্ব অবস্থান থেকে কোরআন শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হয় , তাহলে তাদের পরবর্তী সকল বংশধর পরিত্রান পাবে ও কামিয়াবি হবে ।

আমীন ।।

আহমেদ জাফর

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *