বিধান কার জন্য ? তাৎক্ষনিক না কি আতাৎক্ষনিক প্রগ্রাম ? তাহলে বিভেদ কেন?

প্রিয় মানব জাতি , ক্ষনিকের জন্য চিন্তা করুন । আমাদের প্রথম আদি পিতা বা মানব আদম আ: তার উপরকি কোন রিসালাত বা কিতাব নাযিল করেছিলেন ?

কেন নয় ?

১। কারন যদি বলি , আল্লাহ পাক ওয়াহি এর মাধ্যমে সরাসরি তার জীবদ্দশায় চলার প্রকৃয়া তাঁকে শিখিয়ে দিয়েছেন ।

তখন তার উপরে কোন কিতাব নাযিল করলে, তা সংরক্ষন করা , মানা বা বুঝার ও বুঝানোর মত অন্য কেহ ছিল না বা আল্লাহ সংগত কারণেই

তাঁর উপর কোন কিতাব নাযিল করার প্রয়োজন মনে করেন নি ।

তার পর দুনিয়ার প্রথম অত্যাচারী যালিম ও অবিশ্বাসি যদি কাবিলকে ধরা যায়, তখন থেকে বলা যায় বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের আবির্ভাব ।

শুরু হয় সংঘাত ।

কিন্তু ফাঁসাদের মূল নায়ক অবিশ্বাসী কাবিল

যিনি বিধান না থাকার জন্য ইবলিসের প্ররোচনায় হাবিলের উপর অত্যাচার করে ও এক পর্যায়ে হত্যার যাত্রা শুরু করে ।

* এ থেকে কি আমরা শিক্ষা নিতে পারি না যে অবিশ্বাসীরাই ফেতনা -ফাসাদ , জুলুম , অত্যাচারের জন্ম দেয় ?

২। যখন থেকে কিতাব ও বিধান নাযিল হতে শুরু হয়, তখনই আল্লাহ পাক, স্ব-স্ব কওম বা

গোত্রের মধ্য হতে তাঁর মনোনীত কোন একজনকে রাসুল বা নবী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং তাঁকে মানা ও অনুসরন করার অতাৎক্ষনিক আদেশ দেন ।

কিন্তু কিতাব রচনার দরকার হল কেন ?

* নিশ্চয়ই রাসূল ও নবীগন যে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্বাচিত তার স্বাক্ষ প্রদানই মূল লক্ষ্য ।

আর এভাবেই আমাদের শেষ নবী , মু: স: এর উপর নাযিলকৃত কিতাব / কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে স্বাক্ষ বহন করে ।

আর এটাই বিধান যা সকল মানবজাতির জন্য সকল ধারার ( মৃত্যু-জীবন -মৃত্যু ও পুনরুত্থান ) বিধান অতাৎক্ষনিকভাবে নাযিল করে পূর্বেই ঘোষনা করে , সত্য- মিথ্যা , ন্যায় -অন্যায়, মরন-জীবন, জ্ঞান -আমল সহ সবকিছুই অবহিত করার ব্যাবস্থা করেছেন ।

সুতরাং যার ইচ্ছা সে কোরআন অনুসরণ করে বিশ্বাসীদের অন্তর্ভক্ত হবে ও জান্নাত লাভ করবেন । আর অন্যথায় জাহান্নামের শাস্তি ভোগে বাধ্য হবেন ।

তাহলে সহজেই অনুমেয় যে এটা আল্লাহর কোন তাৎক্ষনিক ইচ্ছা নয় যে যখন চাইবেন কাকেও শাস্তি ( জাহান্নাম ) দিবেন এবং যাকে চাইবেন

শান্তি ( জান্নাত ) দিবেন ।

সুতরাং মানুষ নির্দিধায় স্বীকার করুক যে আল্লাহ স্বচ্ছ বিচারক ও কারো প্রতি যুলুম করেন না ।

তারপরও যারা জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবেন তা তাদের হাতের কামাই , অবিশ্বাসের ফল ও তাদের কাজের প্রতিফল ।

তাহলে একথা দিবালোকের মত পরিস্কার যে অবিশ্বাসীদের শাশ্তির ( জাহান্নামের ) জন্য , বিশ্বাসীদের কোন হাত নেই ।

তথাপিও কেন বিশ্বাসীদের উপর অবিশ্বাসীদের অত্যাচার ? মিথ্যারোপ , চক্রান্ত করা ইত্যাদি ?

কারন যে অবিশ্বাসীরা স্বয়ং স্রস্টাকেই প্রতিপক্ষ ভাবে , তারা বিশ্বাসীদের প্রতিপক্ষ ভাবা খুবই স্বাভাবিক ।

সুতরাং তারা অন্যায়ের জন্ম দাতা এবং মৃত্যু অবধি অন্যায় করেই যাবে যতক্ষন না তারা বিশ্বাসী হবে ।

মহান আল্লাহ পাক আমাদের সঠিক বুঝদানে সহায়ক

হোন ।

আমীন ।।

আহমেদ জাফর ।

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *