সবচেয়ে কবীরা বা বড় গুনাহ কি? এবং কিভাবে ইবলিস মানবকুলকে তা বুঝতে না দিয়ে মানুষকে জ্ঞানহীন করে উলঙ্গ করে ছাড়ল ?
শ্রদ্ধেয় পাঠকবৃন্দ ,
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ।
আপনারা হয়ত অনেকেই প্রথমে একমত হবেন না যে সবচেয়ে বড় গুনাহ হল মিথ্যা বলা , যা শিরক বা বাবা-মার সাথে বেয়াদবী করার চেয়েও বড় গুনাহ ।
হয়ত অনেকেই বলবেন ,
ان أشرك لا ذلم أخيم
অনেকেই এভাবে তরজমা করবেন :
“নিশ্চয়ই শিরক হল বড় গুনাহ “। কিন্তু আসল কথা হল “নিশ্চয়ই শিরক হল অন্যতম বড় গুনাহ “।
তাহলে বুঝা যাবে শিরকের থেকেও বড় গুনাহ আছে । আর তা হল মিথ্যা বলা ।
অবশ্য আমরা অনেকেই মুখে বলি , মিথ্যা বলা মহা পাপ “।
কিন্তু ইবলিসের ধোকায় তা মুখে বলার মধ্যেই সীমা বদ্ধ।
এখন কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে বলতে চাই কিভাবে আমরা আক্কল বা আল্লাহর দেয়া Common Sense কাজে না লাগিয়ে নফসের উপরে যুলুম করে মিথ্যা বলি।
কিন্তু তার আগে আরো একটি কথা স্বরন করিয়ে দেয়া দরকার । মানব সৃস্টির অন্যতম উদ্দেশ্য ন্যায়- অন্যায়ের পার্থক্য করা । আর কোরআন হল ন্যায়- অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য কারী একমাত্র প্রমানিত বিধান যা আল্লাহর পক্ষ থেকে সকল মানবের জন্য নায়িল হয়েছে ।
এবার ধরুণ :
১। এক পীর বা আলেমদের অনুসারীরা , অন্য পীর বা আলেমের অনুসারীদের মধ্যে বিভেদ ।
নিশ্চয়ই একজন তো সঠিক ? তাহলে অন্য জন মিথ্যা !
যদি তাই হয় অনুসারী সহ যারা মিথ্যার উপরে আছেন তারা নিজের আক্কেলের উপর যুলুম করে মিথ্যা বলছেন ও সবাই কবীরা গুনাহ করছেন ।
সেই সাথে তারা মিথ্যা বীজ বপন করে গেলেন ।
তার মানে তারা সবচেয়ে বড় কবীরা গুনার চাষ করে গেলেন ।
২। এক দল রাজনৈতিক দল অন্যদলের উপর মিথ্যা আরোপ করেন ।
৩। বড় নেতা ভূল / মিথ্যা বলার পরে তাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য সবাই মিথ্যা জেনে শুনে ও দলের স্বার্থে সাপোর্ট করেন ।
৪। মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোন সার্টিফিকেট নেয়া , পাশের , মুক্তিযোদ্ধার বা অন্য যে কোন ।
৫। জেনে শুনে মিথ্যার উপর ভর করে কেস করা বা নড়া বা স্বাক্ষী দেয়া বা নীরবে হজম করা , সত্য প্রকাশ না করা ইত্যাদি ।
এভাবে ব্যাক্তি , পরিবার , সমাজ, রাষ্ট্র , মহারাষ্ট্র , পৃথিবী সকল মানব কুলকে কোন না কোন ভাবে
চক্রান্ত করে সবচেয়ে বড় কবীরা গুনার বীজ বপন করে যাচ্ছেন , যুগ থেকে যুগান্তরে ।
যেনে রাখুন , আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন সর্বশ্রেষ্ট ন্যায় বিচারক । প্রত্যেকেই যার যার আমল নামার উপরে বিচার করা হবে ।
নেতা বা পীরের কোন সুপারিশ / অসিলা কাজে আসবে না । বরং তারা তা অস্বীকার করবে ।
তাহলে মানব জাতি কিভাবে তওবা করবে ও কিভাবে জান্নাত আশা করতে পারে ?
সবাই একটু ভাবুন । সম্ভব হলে যার যার অবস্থান থেকে তওবা করে প্রতিজ্ঞা করুন ও মিথ্যা পরিহার করুন ।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দানে সহযোগীতা করুন ।
সবাইকে লিংক শেয়ার করে দাওয়াত করার চেষ্টা করি ।
No comment