ইবলিস বা শয়তান কিভাবে মানুষকে তার দলভুক্তবা অনুসারী করে এবং তা প্রতিরোধের ঊপায় কি ?

প্রিয় ইহলৌকিক জীবনের সহযাত্রীবৃন্দ ,

‎السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

যদি প্রশ্ন করা হয় , অস্ত্রের শক্তি বেশী না কি কৌশলের শক্তি বেশী । তখন হয়ত মূলত দুই রকম উত্তর পাওয়া যাবে :

১। অপেক্ষাকৃত কম কৌশলী ও সাধারণ মানুষ বলবে অস্ত্রের । কারণ তারা কৌশলের গভীরতম তাৎপর্য তৎক্ষনাত স্বরণ করতে পারে না বিধায় , চাক্ষুষদৃষ্টে অস্ত্রের কথা অনায়াসে বলবেন ।

২। পক্ষান্তরে অপেক্ষকৃত বেশী কৌশলী লোকজন বলবেন কৌশলের কারণ তারা ধরেই নিবেন জ্ঞানের পরিসীমা সসীম নয় বরং অসীম । তাই যতই শক্তিশালী অস্ত্র আবিস্কৃত হোক না কেন তা প্রতিহত করার ক্ষমতা অবশ্য আল্লাহ রেখে দিয়েছেন ।

ঠিক তেমনি ইবলিসকেও আল্লাহ সসীম ক্ষমতার অধিকারী করে পাঠিয়েছেন কিন্তু অসীম ক্ষমতার মালিক যাকে ইচ্ছা তাকেই ইবলিশের উপরে প্রভুত্ব করার ব্যাবস্থাও করে রেছেছেন ।

**উপরন্ত যারা একটু বিচক্ষণ তারা নতুন কোন আবিস্কারের কথা শুনে ও তা প্রতিরোধের কথাও

মনে মনে অগ্রীম ধারণালব্দ করে নেয় বিথায় , তারা কোন না কোন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের পূর্ব পরিকল্পনা করেই নেয় ।

প্রসংগত প্রশ্নের উত্তরের সুবিধার্থে সূরা নিসা , আয়াত ৪/ ১১৯ এ আমরা দেখতে পাই ,

“ ( ইবলিসের উপরে আল্লাহর লা’নতের প্রতিউত্তরে ইবলিস বলল) , আমি তাহাদিগকে ( দূর্বল ঈমানী মানুষদের) পথভ্রষ্ট করবই ,

তাহাদের অন্তরে মিথ্যা বাসনার সৃস্টি করিবই , আমি তাহাদিগকে নিশ্চয়ই নির্দেশ দিব আর তাহারা পশুর কর্ণচ্ছেদ ( বিশেষ ধরনের নর উষ্ট্র সাবকের কর্ণচ্ছেদ করিয়া দেব-দেবীর নামে ছাড়িয়া দিত ) করিবেই এবং তাহাদিগকে নিশ্চয়ই নির্দেশ দিব আর তাহারা আল্লাহর সৃস্টি বিকৃত করবেই” ।

সূরা নিসা , আয়াত ৪/ ১২০

“ ( ইবলিস ) সে তাহাদিগকে (দূর্বল ঈমানী মানুষদের) প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাহাদের হৃদয়ে মিথ্যা বাসনার সৃস্টি করে , আর শয়তান তাহাদিগকে যে প্রতিশ্রুতি দেয় তাহা ছলনা মাত্র” ।

তাহলে শয়তান মানুোষকে কিভাবে অনুসারী বা দলভুক্ত করে তা উপরের আয়াতদ্বয়ে স্পস্ট করা হল যে , ইবলিস মানুষের সাথে বাহ্যিক শক্তি প্রয়োগ করে না বরং কুবুদ্ধির খেলায় বা কৌশলে মন মন্ত্র দ্বারা তার অনুকুলে ফিরিয়ে নেয় ।

প্রতিরোধের প্রকৃয়া :

দেখুন আল্লাহ বিচার প্রকৃয়ায় অতিশয় স্বচ্ছ বিধায় , শয়তানের এ সকল অপকৌশল আগেই কোরআনের মাধ্যমে প্রকাশ করে দিয়েছেন বিধায় যারা বিচক্ষণ তারা কোরআন অধ্যায়ন করেন এবং আগে থকে সতর্ক হতে পারে ।

সুতরাং প্রতিরোধের ব্যবস্থাও তাদের জন্য অধীক সহজতর । তারা যখন – তখন আল্লাহর স্বরনাপন্ন হলেই আল্লাহর সাহায্যও অতি নিকটে ।

সুবহানাল্লাহ ।

সুতরাং হে মানব জাতি, কোরআন অধ্যায়ন করুন , তার মর্মার্থ অনুধাবন করুন , আমল করুন । ইবলিসের অনুসারীরাই আপনার পদাঙ্ক অনুসরণ করবে , ইনশাআল্লাহ ।

আমীন ।।

আহমেদ জাফর

Note : Please read it carefully and drop your personal valued comment to lift up the human nation .

https://www.facebook.com/researchonislam/

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *