আইনের / Law এর উৎস কি ? এবং আইনের ভিত্তি কি ?

প্রিয় ইহলৌকিক জীবনের সহযাত্রীবৃন্দ ,

‎السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

যে আইনেই নেই ভিত্তি ,

তাতেই হচ্ছে বিচার সিদ্ধি !

বিচারের নামে কি নয় অবিচার ?

শেষ বিচারে জবাব কি তার ?

আমরা হয়ত অনেকেই কখনও ভেবে দেখিনি যে সারা দুনিয়ায় আইনের মূল উৎস কি?

5 Sources of Laws mostly follow by most of the countries in the world .

1. Legislation Law -সাধারন আইন

2. Custom Law – রীতি -নীতি

3. Judicial Law -বিচারিক নজীর ।

4. Conventional Law : প্রচলিত আইন

5. Justice Equity : ন্যায় বিচার ।

একটু ভাবুন , আইন তো মানুষের জন্য করা হয় । আবার সেই আইনের উৎস ও আইন মানুষেরই

করা ।

মানুষ যেহেতু ভুল এবং পক্ষ-পাতিত্বের ঊর্ধে নয় সেহেতু মানুষের করা আইন ও সেই আইনের দ্বারা সিদ্ধ বিচার কতটা শুদ্ধ হতে পারে ?

পক্ষান্তরে মানুষের সৃস্টি কর্তা আল্লাহ যিনি সর্বাপেক্ষা নিরপেক্ষ, শ্রেস্ট আইন প্রনেতা , শ্রেস্ট বিচারক , শ্রেস্ট হিকমত ওয়ালা , তাঁর

সরাসরি নাযিল করা

কোরআনের আইন মূল Source বা উৎস হিসেবে গ্রহন করা হয়নি ।

অতএব ,

১। এই প্রথার দ্বারা আইন প্রনেতারা ,

বিচারকরা এবং যারা তাদের

অনুমোদন করেছে , তারা কি সাধারন মানুষের উপর জুলুম করেনি?

২। তারা কি নিজেদের উপরই নিজেরা জুলুম করেনি ?

৩।আল্লাহর দেয়া শ্রেস্ট আইন অমান্য করে কি আল্লাহর উপর জুলুম করে নি?

৪।Judicial Law -বিচারিক নজীর – আগে যদি বিচারের নামে অবিচারও করা হয়ে থাকে , সেই অবিচারের ধারাবাহিকতা যুগ-যুগান্তরে চলতে

থাকার মানেই তাঁরা ভুল বা অবিচারের বীজ বপন করে যাচ্ছে । সে দায় কি তারা এড়াতে পারবে ?

একটু ভেবে দেখার

অনুরোধ রইল বিচারকরা , উকিলরা , আইন প্রনেতারা , মিথ্যা স্বাক্ষীদাতা , মিথ্যা বাদী ও সংশ্লিস্টরা কি আসলেই জান্নাত আশা করতে পারেন ?

সক্রেটিসের শত সিদ্ধ বানী ,

“Know thyselves” বানীটি আবারও স্বরণ করে সবার প্রতি অাহবান করছি ,

“ আপনাকে চিনুন , আপনার কথা ভাবুন ,

করেছি কত অন্যায় , জুলুম ,

বিচার করেছেন , ফাঁসি দিয়েছেন ,

ভিত্তি কি আছে তার ?

পরিত্রান পাবে কি ? শেষ বিচারে ,

মানবীয় স্বাক্ষী কিংবা , উকিল না লাগে ,

লিখা আছে আমল নামা , সিজ্জিনে – ইল্লিউনে ,

একক বিচারক আল্লাহই তার করিবেন সম্ভার “।

উপদেশবানী করি মিনতি , সংশোধন করিবার ।

১। কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক আইন সংশোধনে ও সংস্কারের কাজে যথাসম্ভব দ্রূততম সময়ে শুরু করা যেতে পারে ।

২। বিচার কার্যে সহসোযীতার জন্য , প্রত্যেক বিচারকের সাথে একজন করে কোরআনের আইনে বিচক্ষন হিকমত ওয়ালা যোগ্যতা সম্পন্ন লোক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে ।

৩। বিচারাধীন মামলার রায়ের আগে কোরআনের আইনজ্ঞরা ও বিচারকরা মিলে রিভিউ বোর্ড বসে সংশোধন করে রায় প্রদান করা যেতে পারে ।

৪। প্রতিটি রায় ঘোষণার পরে সম্মিলিতভাবে খালেছ নিয়তে তওবা করার প্রচলন চালু করা যেতে পারে ।

৫। পর্যায়ক্রমে এই প্রথা সর্বত্র চালু করা যেতে পারে ।

৬। কোন বাদী জেনে-শুনে – বুঝে মিথ্যা ও কোরআনের আইন বিরোধী কোন মামলা দাখিল করলে , বাদী ও উকিল উভয়কে লিগ্যাল নোটিশ ও প্রয়োজনে বিচারের আওতায় আনা যেতে পারে ।

৭। আইন বিষয়ে পঠিতব্য সকল বই সংস্কারের কাজ যথাশীঘ্র শুরু করা যেতে পারে ।

মনে রাখতে হবে , “কোরআন কোন জাতি বা ধর্মের পান্ডু লীপি নয় বরং বিশ্ব মানবের কল্যানে শ্রস্টার দেয়া ব্যাবহারিক শিক্ষা “।

কোন দেশ এই নীতি প্রথমে শুরু করলেই তা হয়ত সারা দুনিয়ায় বিরল নজীর হয়ে থাকবে ইনশাআল্লাহ ।

হে আল্লাহ, আমাদের সকলকে ইবলিসের ওয়াস -ওয়াসা থেকে রক্ষা করুন ও কোরআনের অধ্যায়ন ও আমলের ব্যবস্থা করে দিন ।

Note : Please read carefully and advise your personal comments .

আমীন

আহমেদ জাফর

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *