দোয়া কার কাছে প্রার্থনা করব ও কে দোয়ার সুপারিস করতে পারবে ?
প্রিয় পাঠকবৃন্দ ,
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ।
বিষয় : দোয়া কার কাছে প্রার্থনা করব ও কে দোয়ার সুপারিস করতে পারবে ?
* আজ অক্টোবর ২৪/২০২১ ফেসবুকে , একজন পোষ্ট করলেন , “ আমি খৃষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হয়েছি , আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন “।
উপরোক্ত পোষ্টটি দেখেই নানা প্রশ্নের উদ্রেক হল । এ রকম বিভিন্ন সময়ে আমরা দেখি মানুষ মানুষের কাছে দোয়া চান , যা খুবই স্বাভাবিক প্রকৃয়া ।
দোয়ার প্রকৃয়া আমভাবে বিশ্বের যে কেহই কারো জন্য মাহান আল্লাহ রব্বুল আ’লামীনের দরবারে দোয়া করতেই পারেন ।
কিন্তু কারো জন্য খাঁচ ভাবে দোয়া করার জন্য :
১। দোয়া প্রার্থীর পরিচয় গোপন না রেখে প্রকাশ করুন , দোয়া -দাওয়া করতেও পরিচয় লাগে।
২। আপনি মুখে কলমা পড়ে মুসলমান হয়েছেন ,
আলহামদুলিল্লাহ ।
আসলে আপনি কি মু’মিন হলেন , না মুত্তাক্বী না মুসলিম হলেন ? আমি বিতর্ক করার জন্য নয় বরং জানার জন্য প্রশ্নগুলো করছি যাতে মানুষ জানতে পারে ।
আপনাকে অনেক ধাপে ধাপে আপনার নিজের জন্যই কাজ করতে হবে।
মনে রাখবেন , আপনি যদি আগে মু’মিন হয়ে থাকেন , তাহলে আপনার ১ম ধাপ হল :
জ্ঞান + বিশ্বাস = মু’মিন।
অর্থাৎ আগে কোরআনের জ্ঞান সঞ্চার করে আল্লাহর , সত্বা , অস্তিত্ব , গুন বাচক কর্তৃত্ব ও তাঁর সকল সৃস্টির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা হলে আপনাকে মু’মিন বলা হবে ।
মুসলিমের জন্য আরো অনেক ধার পার করে কিয়ামত পর্যন্ত সঠিক ও স্থায়ী পথে পারি জমাতে একান্ত চিত্বে কাজ আছে যা করলে ইবলিসের কোন চক্রান্ত আপনাকে আর বিপদগামি করতে পারবে না ।
তাই কোরআন পড়া-অধ্যায়ন করা শুরু করলে , আল্লাহ সয়ং ফেরেশ্তা দ্বারা আপনার রক্ষনাবেক্ষন করবেন , ইনশাআল্লাহ ।
তাহলে,
১। এমন লোকের কাছে দোয়া চেয়ে কোন লাভ নেই , যিনি নিজেই পাপে ভরপুর ।
২। একজন দায় গ্রস্থ লোকের কাছে যদি পুনরায় ধার চান সে যেমন তা দিতে পারে না এবং তার সুপারিশ ও অন্যের কাছে তেমন গুরুত্ব পায় না , তেমনি পাপীর দোয়া কি অন্যের পাপ মোচনের জন্য সহায়ক হতে পারে ?
৩। তা ছাড়া আগেই বলা আছে, ছগিরা গুনাহ নেক আমল দ্বারা মাফ করানো সম্ভব হলেও , কবীরা গুনাহ , গুনাহগার ব্যাক্তির তওবা ছাড়া কবুল হবে না ।
সতরাং আমাদের উচিত অন্যের দোয়ার ব্যার্থ ভরসা মাথায় না নিয়ে ,
১। সর্বাবস্থায় নফস সজাগ রাখা যাতে কখনও সেচ্ছায় বা অবহেলায় কবীরা গুনাহ না করি ।
২। যদিও বা মনের অজান্তে বা কোন কারনে বা প্রয়োজনীয় কারন, পরিস্হিতিতে কোন কবীরা গুনাহ করতে বাধ্য হই, তখনও যেন অনুসোচনাসহ তওবা করে নেই ।
৩। তওবার ক্ষেত্রে যেন কালক্ষেপন না করি ।
৪। অন্যের দোয়ার ভরসা না করে যথাসম্ভব গুনাহমুক্ত হয়ে কাজ করার চেষ্টা করি যেন আল্লাহ আপনাকে / আমাকে অন্যের জন্য দোয়া করার যৌগ্য করে দেন ।
আর এ সবই সম্ভব হতে হলে , আগে কোরআনের জ্ঞান লাভ করতে হবে , মানতে হবে । কোরআন অধ্যায়ন করার জন্য সারা জীবনের ইরাদা করে নেই । ইনশাআল্লাহ , আল্লাহর ফয়সালা সর্ব শ্রেস্ট ।
আমীন ।।
আহমেদ জাফর
No comment