ইকবাল’রা কি কোরআন চিনে না জানে যে কোরআনের অসন্মান করবে ?

প্রান প্রিয় পাঠক সমুদয় ,

‎السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

বিষয় : ইকবাল’রা কি কোরআন চিনে না জানে যে কোরআনের অসন্মান করবে ?

সমসাময়ীক একটি বিষয় বেশ কয়েকদিন ধরে চোখের সামনে এসে পড়ে । একান্ত অনিচ্ছা

সত্তেও মাঝে মধ্যে কিছু ভিডিও ও বার্তা দেখি ।

এটা নিয়ে কোন মন্তব্য আদৌ করতে চাইনি ।

কিন্তু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে মনে হল কিছু কথা লিখা উচিত যাতে করে মানুষ আরো গভীরভাবে ভাবে

চিন্তা করে এবং ভুল পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকে ।

প্রশ্ন হল কোন ব্যাক্তিকে বা কোন বস্তুর মাধ্যমেও কোন ব্যাক্তি বা জাতিকে অপমান -অপদস্থ করতে হলে , আগে যাকে অপমান করবে তাকে বা যে বস্তু বা বিধান দ্বারা অপমান করবে তা জানা একান্ত অত্যাবশকীয় ।

ধরুন ,

তথা কথিত ইক্ববাল, যার নাম স্যোসাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হল ,

১। তিনি কি কোরআন চিনেন না কি জানেন ?

জীবনেও কি কোরআন অধ্যায়ন করেছেন ?

২। যদি তিনি একা না হয়ে পিছনে কোন

ইন্দন দাতাও থেকে থাকেন, তিনি / তাহারা

ও কোরআন চিনেন না কি জানেন না কি

অধ্যায়ন করেছেন?

৩। যদি ধরে নেই তারা ব্যাক্তি জীবনে কোরআন অধ্যায়ন করেন নি , তাহ’লে তারা কোরআনের

প্রকৃত মর্যাদা সম্পর্কে নিজেরাই তো জানেন না ।

৪। আর যারা কোরআনের মর্যাদা জানেন না , কোরআন অধ্যায়ন করতে জানেন না , কোরআনের অনুশাসন , নিয়ম- রীতি – নীতি মানেন না তারা কি আসলেই মুসলিম না কি মু’মিন না কি মুত্তাকিন ?

৫ । তাদের কাছে কোরআন ও একটি সাধারন বই তো সমানভাবেই মূল্যায়ন হবে বৈকি !

৬। ধরুন পাগল ও শিশু প্রকৃতির ব্যাক্তি যদি কোরআনের উপর উঠে দাড়ান তাতে কি কোরআনের অবমূল্যায়ন হবে?

না কি পাগল ও শিশুকে আইনের মাধ্যমে বিচার করা যাবে ?

সুতরাং

যারা মুর্তির পায়ের নীচে কোরআন রেখেছে তারা

পাগল বা শিশুসুলভ নির্বোধ ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না ।

তাই যারা এই নিয়ে অযথা বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন

করছেন তারা কি তাহলে পাগল ও শিশুসুলভদের

বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন না ?

অতএব ,

প্রতিকার হল সতর্ক অবস্থায় থেকে কাজ করা যাতে পাগল প্রকৃতির কোন লোক যেন ক্ষমতার মুকুট অলঙ্কৃত করে , চেয়ারের অসন্মান করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃস্টি রাখা ।

আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন ।

আমীন ।।

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *