বিতাড়িত ইবলিসের কাছে মানবজাতির পরাজয় ও উদ্ধার পাওয়া প্রচষ্টা।
আগে জেনে নেই ইবলিসকে কেন বিতাড়িত বলা হয় ?
কোথা থেকে বিতাড়িত হল ?
আল্লাহ সুবহানু তা’য়ালা যখন ইবলিসকে নির্দেশ দিলেন , “আদমকে সিজদা কর” , ইবলিশ তখন আল্লাহর আদেশ অমান্য করে আল্লাহ কর্তৃক জান্নাত থেকে বিতাড়িত হল ।
ইবলিসের কাছে মানব জাতীর মূল পরাজয় বলতে বঝতে হবে , মানুষকে মূল শিক্ষা ( اصلي علم ) থেকে দুরে রেখে পদে পদে বোকা বানাতে সক্ষম হয়েছে ।
তাহলে প্রশ্ন জাগে , মানব জাতীর মূল/ মৌলিক শিক্ষা কি ?
১। আল্লাহ প্রদত্ত , মাতৃগর্ভে রুহু সংযোজিত হওয়ার পর থেকে প্রাপ্ত অপ্রমাণিত Common Sense.
2। কোরআন থেকে অর্জিত প্রমানিত জ্ঞান ।
৩। সুন্নাহ থেকে অর্জিত আল কোরআনের ব্যাখ্যাসহ প্রমানিত জ্ঞান ।
এরমধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বের জ্ঞান হল কোরআনের জ্ঞান । আর সেটাই ইবলিস বিভিন্ন কৈশল করে তার ( ইবলিসের ) দোষরদের মাধ্যমে কম গুরত্বের বিবেচনায় নিয়ে সারা বিশ্ববাসীকে কোরআনের শিক্ষা থেকে দুরে রেখেছে ।
এমন কি স্কুল , কলেজ মাদ্রাসা সহ কোথাও কোরআন শিক্ষা সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়নি ।
অন্য কৌশল হল , কোরআন যে শুধু মুসলিম জাতির জীবন বিধান / কিতাব নয় তা মানুষকে জানতে না দিয়ে ইবলিস ভূল শিক্ষা দিতে সক্ষম হয়েছে ।
ফলে মানব জাতী জানে কোর আন শুধু মুসলিম জাতীর কিতাব ।
এটাই ইবলিসের সফলতা ।
উদ্ধার পাওয়ার উপায় :
দেশ , জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সমগ্র বিশ্ব বাসীর কে সঠিকটি বুঝানো যে কোরআন সারা বিশ্বের মানব জাতীর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে জ্ঞান ভান্ডার ।
যা অধ্যায়ন করা প্রত্যেক জন্য অত্যাবশকীয় ।
তাই প্রত্যেকেরই উচিত তার পাশাপাশি অন্যকে কোরআন অধ্যায়নে সহায়তা করা ।
বলা বাহুল্য মহানবী স: কোরআনের দাওয়াত শুধু মু’মিনদের কে নয় বরং সকলকে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন ।
কিন্তু এখনকার মানুষ তা বেমালুম ভূলে গেছে বা জানেই না ।
তাই কোরআনের জ্ঞান সকলের মধ্যে বাধ্যতামূলেক
করতে পারলেই মানুষ ইবলিস কে পরাজয়ের মূল ধাপে এগিয়ে যাবে ।
হে আল্লাহ , আমাদের ইবলিসের কুমন্ত্রনা থেকে রক্ষা করুন ।
আমীন ।
জাফর আহমেদ ।
No comment