মানব সমাজের ক্যান্সার , নেই কি কোনই প্রতিকার ?

Very respected readers , followers & schoolers ,

‎السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

আমার ভাবনায় বেশ অবাক করা তথ্য কপালে চিন্তার ভাঁজ দিনে দিনে গভীর হয়ে ভেদ করছে ।

কোন বাঁধাই যেন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে পারছে না । সেখানেও মহা প্রতারক ইবলিস আমাদের আগেই মাথাওয়ালাদের কিনে ফেলেছে মনে হয় ।

কোন দেশ বা জাতি নয় বরং সারা বিশ্বের চিত্রই অনেকটা কাছা-কাছি । উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সর্ব স্তরের কর্তারাই যেন আল্লাহর কোরআন ভূলে ইবলিসের দাসত্বে পরিনত হচ্ছে ।

কোন দেশের তুলনা করলেও বুঝতে সহজ হবে :

১। মন্ত্রী পরিষদ (চালিকা শক্তি) – চামচামীতে ভরা , ঘুষ ছাড়া যেথা ফাইল নড়ে না ।

ঘুষ ও নাকি নিয়মে পরিনত হয়ে গেল। কিন্তু যার থেকে নিল বা ঘুষ দাতা সন্মানিত না কি গ্রহীতা ?

ঘুষ নিয়েও বিন্দু মাত্র লজ্জিত তো হয়ই না বরং গর্ববোধ করে । কারণ অপশক্তি ও অন্যায় ক্ষমতা তাকে ইন্দন যোগায় ।

এটা কি ঘুনে ধরা সমাজের সমাজিক ক্যান্সার নয় ?

২। সচিব সম্রদয় (সক্রিয় শক্তি) : সচিবদের সক্রিয় শক্তি যেন দিনে দিনে নিষ্কৃয় হয়ে গেল। ঘুষ বাট্টা বাড়তি টাকা , সরকারী সকল সুযোগ সুযোগ সুবিধা ভোগ করে তৃপ্ত তো হয়ই না বরং বড় মাপের আয়ের জন্য যেখানেই পায় সেখানেই জাল ফেলায় ।

৩। উপদেষ্টা / বুদ্ধিজীবি ,

সবারই উপরেই করে খবরদারী । কোরআনের আইন মানে না , প্রচলিত আইনও মানে না বরং সংশোধনের নামে করে বাহাদুরী । নিজের করা আইনই আবার নিজেই ভাঙ্গে আয় করে নেয় অবলিলায় ।

হালাল কি হালাল বুঝে ও না চিন্তাও করে না , নেই কোন অনুশোচনা । ইবলিস শিখাই , এটাই তোর পাওনা প্রমোদনা ।

৪। শিক্ষক শ্রেনী :

শিক্ষা যদি হয় জাতির মেরুদন্ড ,

বুঝা গেল না কোন শিক্ষা কোন জাতির মেরুদন্ড ? তবুও শিক্ষকদের হওয়া উচিত আদর্শ মান দন্ড ।

কিন্তু সমাজে দেখি ভিন্ন চিত্র ।

শিক্ষকদেরও নেই যেন কোন আদর্শিক চরিত্র ,

যার আবেশে শিক্ষার্থীরা হচ্ছে আদর্শ বিচ্যুত ।

টাকার লোভ ! কার নেই বলুনতো ? শিক্ষালয়ের আপাদমস্তক, সবাই যেন কেতাশদুরস্ত । ব্যার্থতার দায়ভার যেন নিজের নয় বরং অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে করে সাভ্যাস্ত ।

তাহলে , আয়ের টাকা কি হল হালাল ? মনে হয় তারাও শয়তানের শিষ্য , মানুষের দালাল ।

৫। আলেম নামের স্বশিক্ষিত সমাজ ,

পীর -মুরীদ আর ধোঁকাবাজ ,

মসজিদ কিংবা মাদ্রাসায় ,

শয়তান সেথায় আড্ডা জামায় ।

স্বার্থের নামে করে টানা-টানি ,

মসজিদের চাঁদায় ও না কি দাবী করে সম্মানী ?

মিলাদের নামে করে টাকার দাবী ,

কোথায় পেল তারা এ নাফরমানী ?

অর্থের লিপ্সা তাদের করেছে আদর্শ বিচ্যুত । কোরআনের জ্ঞানের বদলে , মন গড়া যুক্তি দাড় করিয়ে দিয়ে সমাজকে কোরআন থেক দুরে সরিয়ে দিয়ে , ইবলিসের দায়িত্ব নিজ হাতে নিয়ে নিল ।

এবার একটু ভাবুনতো , এটা কি সমাজিক ক্যান্সার নয় ? তাহলে তা প্রতিরোধের উপায় কি ?

মানুষ মানুষের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়ে প্রকৃত আইনের বা বক্তব্যের ব্যাত্যয় ঘটাবে এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু একমাত্র কোরআনে কোন পরস্পর বিরোধী বক্তব্য নেই ।

সুতরাং জীবনের সর্বস্তরে কোরআনের বাহ্যিক ব্যাবহার ছাড়া আর কোন ভিন্ন খোড়া যুক্তি খাড়া করলেই এ সমাজিক ক্যান্সার থেকে রক্ষা করার আর কোন উপায় নেই বলে মনে করি ।

আমীন ।।

আহমেদ জাফর

বি: দ্র : দয়া করে আমার পেজের

পোষ্টগুলো পড়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করে মূল্যায়িত করবেন । আপনার একেকটি কমেন্ট শয়তানের বিপক্ষে জ্ঞানের

কৌশলে জয়ী হওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে স্বাক্ষী হিসেবে পরিগনিত হবে ইনশাআল্লাহ ।

আমার পেজের লিং :

https://www.facebook.com/researchonislam/

আমার

Website: www.anhuibest.net

ভিজিট করে Blog এ ও

পোষ্টগুলো পড়তে পারবেন এবং রীতিমত

শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগকরে দিন ।

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *