জান্নাত লাভের জন্য আপনি কতটা আত্ন-বিশ্বাসী ? আলেমরা কি কারো জন্য কোন সুফল লাভে সহায়তা করতে পারবেন?
Very respected readers , followers & schoolers ,
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
সূরা জিন্ন এর ২১-২৩ নং আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে আমার টনক নড়ে-চড়ে গেল । মনে হল আমাদের :
১। পীর সাহেবরা – যারা নিজেরাই নিজেকে পীর খেতাব দিতে বা শুনতে পছন্দ করেন ,
২। মসজিদের ঈমাম ও খাদেমরা -যারা মনে করেন তাদের জান্নাত নিশ্চিত এবং অন্যের সাথে তুলনা করে নিজেকে বিশাল ঈমানদার মনে করেন ,
৩। স্কলাররা – যারা বিশাল আয়োজন করে ওয়াজের মাঠে ওয়াজ করেন ও নিজেদের পরিশুদ্ধ মনে করেন ,
৪। একাধিক শিক্ষকরা – যারা নিজের সর্বকালের সেরা শিক্ষক মনে করেন ,
৫। হাফেজরা – যারা কোরআন হিফজ করেই নিজেকে জান্নাতের চাবি হাতে মন করেন ।
তারা কি আদৌ এই সূরা জিন্ন এর , আয়াত ২১, ২২ ও ২৩ পড়েন নি ? বা এর তাফসির সঠিকভাবে উপলব্ধি করেন নি ?
আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের ক্ষুদ্র পরিসরে অধ্যায়ন ও চিন্তার বহি:প্রকাশ করে আবারও সকল মানব জাতিকে সজাগ করে দিতে চাই ।
সূরা জিন্ন -আয়াত ২১/ বল, “আমি তোমাদের ইষ্ট- অনিষ্টের মালিক নহি “।
*** আল্লাহ সুবহানু তায়ালা আমাদের রসূল , নবী ক: স্পস্টত: জানিয়ে দিয়েছেন , তিনি (রসুল ) কারো কল্যান – অকল্যাণ করা বা ঘটানোর ক্ষমতা রাখেন না ।
তাহলে যেখানে নবী ক: স: কেই স্পস্টত জানিয়ে দিয়েছেন ,
তিনি কারো কল্যান- অকল্যাণের ক্ষমতা রাখেন না ,
ক) সেখান কিভাবে উপরের পাঁচ স্তরের লোকজন নিজেকে অন্যের তুলনায় আমলের ভিত্তিতে উঁচু দাবী করে বা মনে করে অন্যকে কল্যান-অকল্যাণের দুরাশা দুর করতে পারে ?
আর সেই দুরাশায় ভর করে সাধারন মানুষ কোরআনের জ্ঞানে অজ্ঞজন তাদের উপর ভরসা করে কল্যান কামনা করতে পারে ?
খ) কিভাবে তারা মনের মধ্যে কোন আত্ব সুদ্ধির চিন্তা না করে অপরকে কটাক্ষ করে কথা বলতে পারে ? ইত্যাদি ।
আমার তো মনে হয় যে জাতীর আলেম আক্ষা প্রাপ্তরাই বেমালুম নিজেকে ও নিজের তাক্বত সম্পর্কে জানে না বা মানে না , সে জাতি কোরআনের জ্ঞানে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে !
আলেম-ঈমামদের কথা , কাজ ও আমল দেখে আমি উদ্বিগ্ন ।
তাই সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গভীরভাবে চিন্তা করে পরিত্রানের পথ বাছাই করার আহবান জানাই ।
সূরা জিন্ন -আয়াত ২২/ বল , ‘ আল্লাহর শাস্তি হইতে কেহ আমাকে রক্ষা করিতে পারিবে না এবং আল্লাহ ব্যাতীত আমি কোন আস্রয়ও পাইব না ।
*** উপরের আয়াতে আল্লাহ সুবহানু তায়ালা, নবী: করীম স: কে স্বীকার করতে বললেন যে সয়ং আল্লাহ ব্যাতীত তাকেও আর কেহ রক্ষা করিতে পারবে না এবং আল্লাহ ছাড়া আর কোন আস্রয়স্থলও নেই ।
সুতরাং যদি তিনি বা দুনিয়ার অন্য কোন মানব আল্লাহর অর্পিত দ্বায়িত্বে অবহেলা করেন , তাহলে আর কোন রক্ষাকারী বা আস্রকারী থাকবে না ।
এর পরও যদি উপরে উল্লেখিত অপেক্ষাকৃত কোরআনের জ্ঞানে জ্ঞানীরাই পদ পদে ভুল করেন ,
তাহলে এজাতীর সংশোধনের দ্বায়িত্ব আর কে কাঁধে নিতে পারবেন ?
সূরা জিন্ন -আয়াত ২৩// কেবল আল্লাহর পক্ষ হইতে পৌছান এবং তাহার বানী প্রচারই আমার দায়িত্ব । যাহারা আল্লাহ ও তাহার রসূলকে অমান্য করে তাহাদের জন্য রহিয়াছে জাহান্নামের অগ্নি , সেথায় তাহারা চীর স্থায়ী হইবে ।
*** এখানে আল্লাহ তাঁকে (নবী ক: স: কে ) দু’টি দ্বায়িত্ব যেমন :
১। নবুয়্যত ( কিতাব – কোরআন) ।
২। রিসালাত ( কোরআনের ব্যবহারিক পদ্ধতি ) ।
এই আয়াতের মাধ্যমে এটাও জানান দেয়া হল যে নবী ক: স: নিজ থেকে কোরআনে কোন যোজন বা বিয়োজন করারও ক্ষমতা রাখতেন না বরং হুবহু প্রচার করাই ছিল তার দ্বায়িত্ব ।
ঠিক তেমনি ব্যবহারিক জীবনে রিসালাতের মাধ্যমে কোরআনের বিশ্লেষণসহ সকল আমল করারই ছিল তাঁর দায়িত্ব । কিন্তু তাঁর উপর অর্পিত দ্বায়িত্বে কোন অবহেলা করার সুযোগ ছিল না ।
যদি কে এ ব্যাপারে অস্বীকার ও অবহেলা করে , তাহাদের জন্য রহিয়াছে জাহান্নামের অগ্নি , সেথায় তাহারা চীর স্থায়ী হইবে ।
তাহলে একটু ভাবুন যারা অতিরঞ্জিত বা মন গড়া কথা বা কাজ করেন তাদের পরিনতি কী হতে পারে ??
আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দানের মাধ্যমে কোরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ দিন ।
আমীন ।।
আহমেদ জাফর
বি: দ্র : দয়া করে আমার পেজের
পোষ্টগুলো পড়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করে মূল্যায়িত করবেন । আপনার একেকটি কমেন্ট শয়তানের বিপক্ষে জ্ঞানের
কৌশলে জয়ী হওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে স্বাক্ষী হিসেবে পরিগনিত হবে ইনশাআল্লাহ ।
আমার পেজের লিং :
https://www.facebook.com/researchonislam/
আমার
Website: www.anhuibest.net
ভিজিট করে Blog এ ও
পোষ্টগুলো পড়তে পারবেন এবং রীতিমত
শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগকরে দিন ।
No comment