হালাল হারামের ব্যাপারে আল্লাহ পাক যৌক্তিকতার গুরুত্ব পরিমাপের শিক্ষা কি?

প্রিয় ইহলৌকিক জীবনের সহযাত্রীবৃন্দ ,

‎السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

উত্তর : প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় ও কোরআন সম্প্রচারের ক্ষেত্রে , ইবলিস মানবকুলকে আল্লাহ পাকের প্রকৃত শিক্ষা সম্প্রচার ও সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে , আংশিক প্রচার ঘটিয়ে বিভ্রান্ত ঘটিয়েছে ।

সুতরাং যারা কোরআন নিজেরা পড়ে না , বুঝে না বা বুঝার চেষ্টাও করে না , তারা স্বভাবত:ই আংশিক বা বিতর্কিত অংশটুকু শুনেই ইবলিসের কৌশলে নিজেদের প্রকৃত শিক্ষা , চর্চা ও চিন্তধারা থেকে দুরে অবস্থান নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে ।

** হালাল বা হারামের ক্ষেত্রে আল্লাহ পাক গুরুত্বের বিবেচনায় ওজোড় , অনুশোচনা ও পরিত্রানের উপায় এই তিনটি নিয়ামকের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেছেন ।

যেমন : সূরা বাকারা ২/১৭৩ ও সূরা আনআম ৬/১৪৫ এ দেখতে পাই ,

إنما حرم عليكم …………فلا اثم عله .

নিশ্চয়ই আল্লাহ মৃত জন্তু , রক্ত ( পশু জবেহ করার পর ধমনি ও শিরা হইতে নির্গত প্রবাহমান রক্ত ) , শূকরের মাংস এবং যাহা আল্লাহর নাম ব্যাতিরেকে অন্যের নামে জবেহ করা হয় তাহা হারাম করা হয়েছে ।

তবে যে অনন্যোপায় ( অজুহাত ) অথচ নাফারমান কিংবা সীমালঙ্ঘনকারী নয় তাহার কোন পাপ হইবে না ।

এখানে ওজোড়ের আপেক্ষিক গুরুত্ব , অনুশোচনা – জান বাঁচানোর মত অন্য কিছু না পেয়ে বাধ্য হয়ে , যতটুকু না খেলেই নয় ততটুকু খেয়ে আফসুস ও অনুশোচনা করা এবং সর্বপরি পরিত্রানের উপায় খুঁজে বের করার প্রতি অধিক গুরুত্ব দেয়া হলে , তার জন্য কোন পাপ হবে না ।

এখন যদি কেহ আয়াতের প্রথম অংশ জানার পর দ্বিতীংশ না বুঝে তারা নিশ্চয়ই কোরআন তথা আল্লাহর বিধানের প্রতি আস্থা হারাবেন । আর এটাই যৌক্তিকতার বহি:প্রকাশ ।

স্বাভাবিক ও বৈজ্ঞানিক যুক্তি হল , যে কোন খাবারে যদি ব্যাক্তির শরীরের জন্য অপকারের তুলনায় উপকার বেশী হয় তা বৈধ । আর যদি উপকারের তুলনায় অপকার / ক্ষতি বেশী হয় , তাহলে তা অবৈধ ।

সতরাং এসকল তথ্য সঠিকভাবে মানবকুলের কাছে তুলে ধরতে পারলে , কোন মানবই কোরআন অস্বীকার করার প্রয়াশ পাবে না । আর তজ্জন্য দরকার , আক্বল বা বুনিয়াদী জ্ঞানকে কোরআন ও হাদীসের দ্বারা উৎকর্শ করা ও প্রতিনিয়ত যৌক্তিক চিন্তার মাধ্যমে আমল করা ।

আর এভাবেই যারা জেনে শুনে স্বার্থ হারানোর ভয়ে কোরআনের বিধি নিষেধ গোপন রাখে এবং তুচ্ছ মুল্যে ( দুনিয়ার সম্পদকে তুচ্ছ মূল্য হিসেবে ধরা হয়েছে ) গ্রহন করে তারা নিজেদের জঠরে ( উদর বা পেটে ) অগ্নি ব্যাতীত আর কিছুই পুরে না ।

কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাহাদের সাথে কথা বলিবেন না , তাদের পবিত্র করিবেন না । তাদের জন্য রয়েছে মর্মস্তুদ শাস্তি ।

সূরা বাকারা – ২/১৭৪ ।

সতরাং পুরো মানব জাতির পরিত্রানের জন্য এটা কোরআনের শিক্ষা । যার যার অবস্থান থেকে নিজ দ্বায়িত্বে কোরআন অধ্যায়ন , বুঝা ও মানার প্রতি গুরুত্বারোপ কলা হল ।

আমীন ।।

আহমেদ জাফর

বি: দ্র : দয়া করে আমার পেজের

পোষ্টগুলো

পড়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করে মূল্যায়িত করবেন । আপনার একেকটি কমেন্ট শয়তানের বিপক্ষে জ্ঞানের

কৌশলে জয়ী হওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে স্বাক্ষী হিসেবে পরিগনিত হবে ইনশাআল্লাহ ।

আমার পেজের লিং :

https://www.facebook.com/researchonislam/

আমার

Website: www.anhuibest.net

ভিজিট করে Blog এ ও

পোষ্টগুলো পড়তে পারবেন এবং রীতিমত

শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগকরে দিন ।

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *