আখিরাতের সৌভাগ্যবান / ডান দিকের দল اصحاب اليمين এবং হতভাগ্য / বাম দিকের দল اصحاب المشءمة ও দুনিয়ার হতভাগা কারা ও পার্থক্য কি ?

প্রিয় ইহলৌকিক জীবনের সহযাত্রীবৃন্দ ,

‎السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

উত্তর : সূরা ওয়াকি’আহ , আয়াত ২৭-৩৮ :

আল্লাহর অনুগত বান্দাদের বা মু’মিনদের তিনি সৌভাগ্যবান / ডান দিকের দল اصحاب اليمين বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং তাদের জন্য আখিরাতে যে সকল পুরুস্কার দেয়া হবে তা আগেই স্বচ্ছ ও স্পস্টভাবেই ঘোষনা করেছেন ।

যাতে করে যে কেহ চাইলেই সৌভাগ্যবান / ডান দিকের দল اصحاب اليمين এর পথ বেছে নিতে পারেন ।

এখানে কোন আসন সংখ্যার স্বল্পতা বা লিমিটেশন নেই ।

পক্ষান্তরে ,

হতভাগ্য / বাম দিকের দল اصحاب المشءمة বলতে যারা আল্লাহকে স্রস্টা হিসেবে স্বীকার করন না , তাঁর বিধান কোরআন অস্বীকার করে বা মানেন না , বা যারা মানেন , তাদের বিরুদ্ধাচরণ করেন , এক কথায় যারা নাস্তিক তাদেরকে বুঝানো হয়েছে ।

শেষ বিচারের দিনে , তাদের শাস্তির কথাও স্বচ্ছতার বহি:প্রকাশ হিসেবে আগে থেকেই স্পস্ট করে তাঁর বিধান / কোরআনে ( সূরা ওয়াকি’আহ , আয়াত ১৭-২৬ ) প্রকাশ করা হয়েছে ।

তাহলে স্পস্টত হল , আপনি আস্তিক হোন বা নাস্তিক হোক , কোরআন অধ্যায়ন করা সকলের জন্য ফরজ বা অত্যাবশকীয় তাতে কোন সন্দেহ নেই ।

এভাবে আখিরাতের বা শেষ বিচারের সংসদ / বিচারালয়ের বাম বা ডান দিকের দলের ব্যপারে স্পস্ট সতর্ক করা হল ।

এবার আসুন ,

পার্থিব জীবনে যদি আমরা সংসদ অধিবেশন তলাকালীন সময়ে দেখি , তাহলে দেখবেন, যারা স্পিকারের ডান দিকের দল তারা হলেন সরকারী দল ,যেখানে আস্তিক বা নাস্তিকের কোন শর্ত নেই ।

আর যারা বিরোধী দল , তারা হলেন বাম দিকের দল , সেখানেও আস্তিক বা নাস্তিকের কোন শর্ত নেই।

আবার যারা আল্লাহ ও আল্লাহর বিধানের সাথে একমত বা মু’মিন বা মুসলিম বলে নিজেদের দাবী করেন তারা ডান দলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ।

অপরদিকে যারা আল্লাহ ও আল্লাহর বিধানের চর্চা করেন না তারা বাম দলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ।

এবার এই স্বাভাবিক চলমান পরিস্থিতি যদি প্রতিটি মানুষ তার নিজস্ব আক্বল দ্বারা বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেন , তাহলে আমার ধারনা বাস্তব চিত্রটি পাল্টে যেত ।

অর্থাৎ যদি কেহ নিজে কোরআন পড়ে ও বুঝে শেষ বিচারের দিনে কে বা কারা আল্লাহর ডান দিকের দলে থাকবে এবং কে বাম দিকের দলে থাকবেন , সেই সিদ্ধান্ত আগে নিয়ে সেই অনুযায়ী কাজ করেন , তাহলে হয়ত কেহই বাম দলের অনুসারী হতে চাইবেন না ।

এর পর যদি পার্থিব জীবনের রাজনীতির সাথে জড়িত হোন , অন্তত শতভাগ স্বচ্ছ থাকার শর্ত আগে চিন্তা করবেন ।

আর তখনই সম্ভব জাতীয় জীবনে আদর্শ মানব গঠন , বিচারে স্বচ্ছতা , কোরআন বিরোধী আইন পাশ না করা ইত্যাদি ।

তাই আশা করি সকল মানব জাতি সাময়ীক সুবিধার বালুর বাঁধের মত অস্থায়ী সংসদের লোভে কোরআন বিরোধী আইনের আস্রয় না নিয়ে , শেষ বিচারের স্থায়ী সংসদের কথা চিন্তা করবেন ।

কোরআন চর্চা করবেন ও সেই অনুযায়ী নিজেও পারিপার্শিক সকলকে চলতে সহযোগীতা করবেন ।

আমীন ।।

আহমেদ জাফর

বি: দ্র : দয়া করে আমার পেজের

পোষ্টগুলো

পড়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করে মূল্যায়িত করবেন । আপনার একেকটি কমেন্ট শয়তানের বিপক্ষে জ্ঞানের

কৌশলে জয়ী হওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে স্বাক্ষী হিসেবে পরিগনিত হবে ইনশাআল্লাহ ।

আমার পেজের লিং :

https://www.facebook.com/researchonislam/

আমার

Website: www.anhuibest.net

ভিজিট করে Blog এ ও

পোষ্টগুলো পড়তে

পারবেন এবং রীতিমত শেয়ার করে

অন্যকে

পড়ার সুযোগকরে দিন ।

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *