শহীদের মর্যাদা ও শর্ত না জেনে কোন মৃত্যুকে শহীদ বলা কি সত্যিকার শহীদদের অমার্যদা করা হয় না ???

আমরা আমাদের সমাজে প্রচলিত প্রথা

দেখে অভ্যাস্ত , যে কোন নেতা বা গন্যমান্য কারও স্বাভাবিক নিয়মে , দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে বা

প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির রোসানলে মারা গেলেও শহীদ বলে খিতাব দিয়ে তাকে অতিরিক্ত মর্যাদায় সিক্ত করার প্রয়াশ করে ।

কিন্তু আফসোস এই মূর্খ্য ( যারা কোরআন ও হাদীসের জ্ঞানে শিক্ষিত নয় ) মানব জাতির জন্য ।

১। তারা কি শহীদ হওয়ার শর্ত জানে না কি বুঝে ?

২। আর শহীদ হওয়ার শর্ত পূরণ না করে মারা গেলে সেও কি শহীদ ?

৩। আর যারা শহীদ নন তাদেরকে না জেনে

বা না বুঝে শহীদ বলা কি আল্লাহর কোরআন

তথা আল্লাহর সাথে প্রহসন নয় ?

৪। শহীদ হওয়ার পূর্ব শর্ত :

ক) মু’মিন হওয়া : সূরা বাকারা -২/১৫৩-২/১৫৭

বলা বাহুল্য উল্লেখিত আয়াত সমুহ গভীরভাবে

পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায় , মু’মিন ছাড়া

কেহই শহীদ হওয়ার গৌরাবান্বিত মর্যাদার অধিকারী হবে না ।

আর মু’মিন হতে হলে নামাজ / সালাতের সকল শর্ত পালন করে নামাজী ও আল্লাহর অনুশাসন মেনে ধৈর্যশীল হতে হবে ।

কিন্তু আফসোস প্রচলিতভাবে মানুষ এই মু’মিন হওয়ার শর্ত জানে না , নামাজ কবুল হওয়ার শর্তও জানে না ।

খ) সূরা -বাকারা -২/১৫৫ :

মু’মিন হওয়ার জন্য আল্লাহর পরীক্ষায় পাশ করতে হবে , যেমন ভয়, ক্ষুধা, ধন-সম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষতি দ্বারা আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন মু’মিনদের পরীক্ষা নিবেন ও সেখানে (ধৈর্যের পরীক্ষায় ) পাশ করতে হবে ।

গ) সূরা- বাকারা -২/৫৬: মু’মিন হওয়ার জন্য – বিপদ-আপদে আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখতে

হবে এবং স্বরণ করতে হবে আমরা তো আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী ।

ঘ) শহীদের মর্যাদা : সূরা বাকারা -২/১৫৪ :

উপরোক্ত শর্তাবলী পালন করে যে সকল মু’মিন আল্লাহর পথে

( একমাত্র আল্লাহর নির্দেশমত জান্নাত লাভের আশায় , তাঁর স্থায়ী পথে ) আল্লাহর নির্দেশের শর্ত মেনে নিহত হন , তাদেরকে “মুত্যু” না বলার জন্য আল্লাহ সুবহানু তা’য়ালা আদেশ করেছেন বরং আল্লাহর অপার দৃষ্টিতে তাঁরা জীবিত বলে অবহিত করেছেন ।

কিন্তু মানুষ তাহা উপলব্দি করতে পারে না ।

সূরা আলে-ইমরান -৩/১৬৯ ।

بل احيااُ عند ربهم يرزقون

বরং তাঁরা (শহীদরা ) জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তাঁরা জীবিকাপ্রাপ্ত ।

সুবহানাল্লাহ !

ঙ) সূরা – বাকারা -২/১৬১-১৬২ ।

যারা কুফরী করে সেই অবস্থায় মারা যান , তাদের উপর আল্লাহ , ফিরিস্তাগন ও সকল মানুষের লা’নত / অভিসাপ ।

তারা অভিসপ্ত অবস্থায় স্থায়ী হইবে , তাদের

শাস্তি লঘু করা হবে না এবং তাদের কোন

বিরামও দেয়া হবে না ।

তাই আফসোস সেই অভিসপ্ত মানব জাতির জন্য ,

যারা কোরআন জানে না , বুঝে না , জানা বা বুঝার চেষ্টাও করে না ।

উপরন্ত যারা তাদের সৎ পথে আহবান করে , তাদেরকেই প্রতিপক্ষ বানিয়ে

অন্যায়ভাবে তাদের উপরই চড়াও হয় ।

অথচ তারা একবারও স্রস্টার শাশ্তির কথা স্বরণ করে না ।

আমীন ।।

আহমেদ জাফর

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *