ইসলাম ধর্মের সাথে অন্যদের মৌলিক বিভেদ ও পার্থক্য ।
* ইসলাম ধর্ম কোন মানব রচিত মতবাদ বা নীতিমালা নয় বরং জগত সমুহের মালিক , প্রতিপালক , স্রস্টা স্বয়ং আল্লাহ সুবহানু তায়ালা কর্তৃক এমন এক আদর্শ গাইড লাইন যা পালন করলে সকল মানব কুল স্রস্টার সন্তুষ্ট লাভ করবেন ।
ধরুন :
১। আপনি যদি যথারীতি পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকতে চান ও দৈনিক পাঁচবার প্রবাহমান নদীর পরিস্কার পানিতে প্রশান্ত চিত্তে গোসল করেন , আপনি নিশ্চয়ই কুলশমূক্ত প্রফুল্ল চিত্তে থাকতে পারবেন ।
ঠিক তেমনি আপনি যদি আল্লাহর গাইডলাইন মত সকল গুরুদায়িত্ব পালন করত: দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ , সঠিক সময় মেনে , তাড়াহুড়া না না করে , ঠিক মত সময় নিয়ে , জেনে শুনে ও বুঝে , নিজে আদায় করেন ও অন্যকে আদায় করার কৌশল অবলম্বন করেন , নিশ্চয়ই ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে পার্থক্য সহজেই বুজতে পারবেন
পক্ষান্তরে ইসলাম বিবর্জিত অন্যরা মাসে বা বছরে একবার গোসল করলে যেমন বাহ্যিক , মানষিক ও অন্তর নিহীত , রোগাক্রান্ত হয় তেমনি তারা সকল জগতে আল্লাহর ঘৃনিত মানুষের মধ্যে পরিগনিত হবে ।
২। জগত সমূহের মালিক যিনি সকল কিছুর স্রস্টা , তিনিই সকল কিছু সম্পর্কে পরিজ্ঞাত হবে সেটাই তো স্বাভাবিক ।
তাই যারা তাঁর নির্দেশিত পথালম্বন করবে তাদের সাথে যারা নিজস্ব বা অন্যান্য পথালম্বন করবে , তাদের কি কোন মৌলিক তুলনা হতে পারে ?
৩। মুসলিম ও ইসলামের মৌলিক আদর্শ বুঝতে হলে অবশ্যই তাকে আল্লাহ প্রদত্ত Common Sense , কোরআন ও হাদীসের জ্ঞানে পরিজ্ঞাত হতে হয় ।
তাই কোরআন চর্চা বা অধ্যায়ন না করলে ইসলামের আদর্শিত জ্ঞানে অপূর্ণ থেকে যাবে ।
সতরাং কোরআনের জ্ঞানে অজ্ঞ , বা মুর্খ্যের সাথে আলেমের কি কোন তুলনা করা চলে ?
এতদসত্বেও যদি কোরআনের জ্ঞানে পরিজ্ঞাত আলেমের সাথে অন্য যে কোন শিক্ষায় শিক্ষিত বা অশিক্ষিতের সাথে মুসলিমের তুলনা চলে না ।
মানুষ যদি এতটুকু জ্ঞান রাখে যে ,
১। মৃত্যু অবধারিত ।
২। পুনরুথ্থান নিশ্চিত
৩। শেষ বিচার দিবস নিশ্চিত , তার পরও কি
১। তাঁর স্রস্টার অবাধ্য হতে পারে ?
২। মুসলিম বা ইসলাম বিদ্বেশ করতে পারে ?
নিশ্চয়ই না ।
তার পরও যারা স্রস্টার অবাধ্য, আমরা যারা দায়ী হিসেবে কাজ করতে চাই , তাদের শুধু তাওয়াত কার্যই যথাপোক্ত।
কোন স্বার্থ ও কৌশলের আস্রয় নেয়া যাবে না ।
আমীন ।।
No comment