ধর্ম ( জীবের জন্ম থেকে মৃত্যু অবদি গাইড লাইন) নিয়ে মানুষের চিন্তার বহি: প্রকাশ ও রহস্য ।

সমসাময়িক কালে ধর্ম নিয়ে মানুষের চিন্তা , কর্ম কান্ড সমাজিক পরিস্থিতি , অনলাইনে বিভিন্ন মতামত নিয়ে মনে হল , ধর্ম নিয়ে মানুষের মনের সুপ্ত জট খোলা দরকার । কেন মানুষে মানুষে এতটা বিভেদ ?

https://images.app.goo.gl/drwij4rm1kTgn4ZF9

উপরে দেখতে পাবেন মানুষের FETAL DEVELOPMENT STAGE ও বিন্যাস ।

কিন্তু মানুষ কি কল্পনা করে তার জন্মের (ভ্রণ-জাইগোট আগে , মৃত্যু ছিল ?

১। সেখান থেকে প্রথমে রুহ ও ইলহামের উদ্ভব ( অতাৎক্ষনিক নিয়মের অবতারনা ) ঘটিয়ে FETAL DEVELOPMENT STAGE এর দৃশ্যমান অস্তিত্ব শুরু হয় যখন থেকে ডাক্তারদের অনুসন্ধান শুরু করে।

সুতরাং এই ভ্রণের অস্তিত্ব দৃশ্যমান হওয়ার আগে শুধু আল্লাহই তাঁর অলৌকিক ক্ষমতায় বিকশিত করেন ।

২। এর পরে ভুমিষ্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত আল্লাহ মা এর মাধ্যমে নিয়ম – নীতি / গাইড লাইন দিয়ে ভুমিষ্ট করান ।

৩। ভুমিষ্ট হওয়ার পরে বাবা , পরিবার ও পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলার জন্য আল্লাহর দেয়া অপ্রমানিত Common Sense দিয়ে দুনিয়ার লম্বা পথের প্রথম যাত্রা শুরু করান ।

৪। দুনিয়ায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চলার জন্য মা-বাবা-পরিবেশের পাশা-পাশি জীবন বিধান হিসেবে তার স্বীয় বানী / বিধান কোরআন ( আসমানী কিতাব) এবং তা বাস্তবে অনুকরণের সুবিধার জন্য রসুলের মাধ্যমে হাদীস গ্রন্থের আবির্ভাব ঘটান ।

৫। এ জন্যই কোরআন ও হাদীস সারা বিশ্ববাসীর জন্য আবির্ভাব করয়েছেন । তাই মানুষ , আল্লাহর সৃস্টির সেরা জীব, যাতে ভূল পথে পরিচালিত না হয় , তার জন্য কোরআন প্রতিটি মানুষের জন্য মেনে চলা ফরজ / অবশ্যই কর্তব্য করা হয়েছে ।

৬। এতদ পর্যন্ত মানুষের মধ্যে কোন বিভেদ নেই , ছিল না । কিন্তু অসহায় মানুষ যখন একটু চলার শক্তি সঞ্চয় করে তখনই শুরু হয় বিভেদ । একদল কোরআন মানে অন্যরা মানেন না ।

শুরু হল আস্তিক – নাস্তিকের পালা ।

শুরু হল আল্লাহর নিয়ম -নীতি , গাইড লাইন তথা প্রচলিত শব্দ ধর্ম মানা বা না মানা ।

৭। যেহেতু আল্লাহ احسان الحاكمين

উত্তম বিচারক তাই সকল মানুষকে আগেই জীবনে চলার বিধান দিয়েছেন এবং তৎপরবর্তীতে মৃত্যু ( ২য় মৃত্যু ) ও পুরর্জীবন / পূনরুত্থান এর বিধান ও এই কোরআনের মাধ্যমে প্রকাশ করে দিয়েছেন ।

৮। সূরা বাকারা , ২/৪৬ – যারা পরকালে আল্লাহর সাথে মোলাকাত / স্বাক্ষাত করার কথা চিন্তা করি , বিনীত হই তাঁর দিকে ফিরতে হবে বলে বিশ্বাস করি তারা তাঁর মহাপুরুস্কারের আশায় নিয়ম মেনে চলি তাঁরাই ইসলাম ( শান্তি ) আল্লাহর দেয়া নাম ইসলাম ধর্ম পালন করি ।

৯। আর যারা বিচ্যুত তারা বিভিন্ন মতে মতান্তরিত হয়ে এহ জীবনে তথা কথিত পূর্ব পুরুষ ও নিজস্ব মতে চলেন । যাদের এক কথায় বিধর্মী বলে ।

১০। তহলে আমরা এখন কেন বিবাদ করি?

১১। শুরুতে আল্লাহ , পরে মা , তার পরে বাবা -মা- পরিবেশ আমাদের যেমন গাইড লাইন পালনের জন্য সহায়তা করেছে ,

তেমনি যারা বিচ্যুত , বিধর্মীরা , কোরআন জানেন না বা মানেন না তাদের উচিত যারা কোরআন জানেন ও মানেন , তাদেরকে গাইড হিসেবে , শিক্ষক হিসেবে গ্রহন করা ।

১২ । আর তা না করে তাদের প্রতিপক্ষ ভাবা কি নির্বোধ , মূর্খ্য ও বোকামির লক্ষন নয় ???

১৩। মুসলিমরা অন্য কারো শত্রু নয় বরং সহায়ক ।

১৪। কিছু নাস্তিক কোরআনের অংশবিশেষ কপি করে না বুঝেই , শানে নূযুল না যেনে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ান ,

তাদের প্রতিও অনুরোধ আসুন কোরআন পড়ি ও শিখি ।

কাফের , তাগুত কাফের , মুনাফিক ও মুশরিকদের সকল পথ ঘৃণাভরে পরিত্যাগ করি

আমীন ।।

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *