যারা মানুষকে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে মিথাচার করে ও বিশ্বাসীদের গান বাজনার প্রমোদনা সহ ঠাট্টা- বিদ্রূপ করে তাদের পরিনতি কি হবে ?
প্রান প্রিয় পাঠক সমুদয় ,
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
আজকের বিষয় : যারা মানুষকে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে মিথাচার করে ও বিশ্বাসীদের গান বাজনার প্রমোদনা সহ ঠাট্টা- বিদ্রূপ করে তাদের পরিনতি কি হবে ?
সূরা লোকমান , আয়াত নং ৬ ।
ومن الناس من يشتري لهو الحريش ليضل عن شبيل الله بعير علم ويتخذها هزوا ط آبائك لهم عذاب مهين ًً.
অনুবাদ : এক শ্রেনীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ হইতে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে ( কোরআনের জ্ঞান না থাকার কারনে ) অবান্তর কথা-বার্তা সংগ্রহ করে (ক্রয় করে ) এবং ঠাট্টা বিদ্রূপ করে , এদের জন্য রয়েছে (জাহান্নামের) অবমাননা কর শাস্তি ।
সাধারণ লোকের জ্ঞাতার্থে একটু বিশ্লেষণ করা যাক ।
শানে নুযুল থেকে পাওয়া যায় – ১। নবী ক: স: বলেছেন , তোমরা গায়িকার ক্রয় বিক্রয় করবে না । তাদেরকে গান বাজনা শিক্ষা দিবে না । এ সবের ব্যবসায় কোন কল্যান নাই । এদের বিক্রিত মূল্য হারাম ।
তাহলে একটু চিন্তা করুন :
ক) আমাদের মধ্যে অনেকেই , ভাল নাম করা কোন গায়িকা বা নায়িকার একক সন্ধ্যা অনুষ্টানে
টিকিট মূল্য কোন ব্যাপার নয় , সামনের সন্মানী চেয়ারের জন্য যত টাকা লাগে খরচ করে ।
কিন্তু ধর্মীয় কাজে চাইলে পকেট শুকিয়ে যায় ।
খ) এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নেতারা বলা মাত্রই পাতি নেতারা খরচ করতে শুরু করার প্রতিযোগিতা লেগে যায় ।
এ টাকার কোন উৎস তল্লাশি করা হয় না । যাকাত বা ট্যাক্স প্রাপ্ত হওয়া লাগে না । পক্ষান্তরে মসজিদ -মাদ্রাসায় দান করলে বলেন , ব্যাটা এত টাকা কোথায় পেল ?
এক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য রয়েছে জাহান্নামের অবমাননাকর শাস্তি ।
২। নজর ইবনে হারেছ , পারস্য দেশের বিভিন্ন গল্প পথি বই সংগ্রহ করে মক্কায় এসে লোকদের পাঠ করে শোনাত আর
বিদ্রুপ করে লোকদের বলত মুহম্মদ স: তোমাদের আদ , সামুদ ও অতীতের নানা জাতির কিচ্ছা পাঠ তরে শোনান । ফলে লোকজন তার এই গল্প – পুঁথি শুনতে আগ্রহী হত এবং কোরআনের মজলিসে লোক সমাগম কম হত ।
বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে লোকজন গান , বাজনা , নাটক সিনেমা , অশ্লীল ভিডিও দেখতে বা শুনতে আগ্রহী হয়ে পরেছে ।
অথচ কোরআনের মজলিসে বা অধ্যায়নের জন্য আহবান করলে লোক পাওয়া যায় না ।
এক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য রয়েছে জাহান্নামের অবমাননাকর শাস্তি ।
৩। নজর ইবনে হারেছ একটি দাসী ক্রয় করে তাকে দিয়ে ইসলাম ধর্মে দিক্ষিত হতে ইচ্ছুক লোকজনের কাছে গিয়ে তাদের গান বাজনা ও সরাব পান করানোর প্রস্তাব দিত ও বলত মুহম্মদ স: এর নামাজ , রোজার চেয়ে এগুলো কতই না উত্তম ।
বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে একটু চিন্তা করুন , মেয়েদের দিয়ে প্রলুব্ধ করে কত মানুষকেই না ইবলিসের দোষররা বিপথগামী করছে !
এক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য রয়েছে জাহানেনামের অবমাননাকর শাস্তি ।
করনীয় :
১। জাতি -ধর্ম বর্ণ -গোত্র , ছোট -বড় , উঁচু -নিচু
সকলের জন্য কোরআন শিক্ষা ফরজ / স্রস্টার পক্ষ থেকে জ্ঞানের এক মাত্র প্রমানিত প্রধান গ্রন্থ অধ্যায়ন করা গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে ।
২। প্রত্যেকেই স্ব স্ব অবস্থান থেকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের ভুমিকায় অবতীর্ন হতে হবে ।
তাহলেই মানব জাতির পরিত্রান হবে ।
আমীন
আহমেদ জাফর ।
No comment