প্রশ্ন : ইসলাম বুঝা, মানা ও প্রচারে কি কৌশল?
অবলম্বন করবেন ?
যে কোন ধর্ম মানতে ও বুঝতে হলে আগে সেই ধর্মের বিধান সম্পর্কে সম্মক ধারনা থাকতে হয় ।
তাই ইসলাম ধর্ম মানতে , বুঝতে ও প্রচার করতে হলে আগে আল্লাহর একমাত্র প্রমানিত বিধান
কোরআন বুঝতে হবে ।
প্রচার করতে হলে , প্রচার মাধ্যম হতে হবে সর্বকালের সর্বাধুনিক ।
মানুষ যুগে যুগে আধুনিকতার ছোয়ায় বেড়ে উঠে ।
তাই আধুনিক প্রযুক্তির উপর সবারই একটি ঝোঁক বা দুর্বলতা আছে এবং থাকবে ।
সুতরাং কোরআন শিক্ষা ও ইসলামী জ্ঞানার্জনেও যুগোপযোগী সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে ।
তাহলেই তা নিজ নিজ গোত্র , সমাজ, দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমাদ্রিত হবে ইনশাআল্লাহ ।
ইসলাম ধর্ম প্রচারেও সকল পর্যায়ে সর্বাধুনিক মিডিয়া ব্যাবহারে সফলতা আসতে বাধ্য ।
জন্ম গত ভাবে মানুষ আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তম চরিত্রে বিকশিত হওয়ার জন্য আক্বল বা আল্লাহ প্রদত্ত অপ্রমাণিত সাধারণ জ্ঞান প্রাপ্ত হয় ।
তাহলে মানুষ কিভাবে দিনে দিনে ইবলিসের প্ররোচনায় , সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চরিত্রগতভাবে খারাব হয় ও মানব সৃস্টির মূল উদ্দেশ্য ভুলে গিয়ে ইবলিশের দাসে পরিনত হয় ? সেই সাথে আল্লাহর দাসত্ব ভুলে যায় ।
এ সবই ইবলিসের চক্রান্ত ।
১। একদিকে আমাদের ধর্মাজ্ ও ধর্মান্ধ লোকদের কুমন্ত্রনা দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি থেকে দুরে রেখে, আদি প্রযুক্তির উপর স্থায়ী থাকার কুপরামর্শ দেয় ।
অপর দিকে আধুনিক প্রযুক্তিলব্দ লোকদের ইসলামের আলো দুরে রাখতে , কোরআন না শিক্ষার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অন্য কাজে ব্যাস্ত রাখে ।
২। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার পিপাসুদের সাথে
আদীম প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের কৌশলে দাঙ্গা বাজিয়ে , প্রকৃত প্রচার থেকে দুরে রাখে ।
৩। মনে রাখতে হবে মিসাইলের প্রতিঘাত , সর্বাধুনিক মিসাইল ছাড়া বন্দুক দিয়ে বা বাঁশের লাঠি দিয়ে হবে না ।
কথায় বলে , “যেমন কুকুর তেমন মুগুর “ ।
আসলে তা নয় বরং
আরো শক্তিশালী মুগুর দরকার ।
৪। যালিমের প্রতিরোধে আরো শক্তিশালী বা প্রয়োজনে দৈত্যাকার হতে হয় এবং তা অন্যায় নয় বরং ন্যায় সংগত কাজ।
৫। ধরুন প্রতিকারের জন্য যদি আধুনিক প্রযুক্তির প্রগ্রামার ইসলামী আদর্শের কোন ব্যাক্তি হয় , তাহলে সেই প্রগ্রাম থেকেও আপনি নিশ্চই ইসলামের বিপক্ষের নয় বরং পক্ষের কিছু আশা করতে পারেন ।
তাই কোরআন জানা লোক আধুনিকতার জন্য বিজ্ঞান , বহি:বিশ্ব , কর্মযজ্ঞ, রাজনীতি , অর্থনীতি , মিডিয়া কর্ম এক কথায় সর্বত্র কর্তৃত্ব থাকতে হবে ।
৬। এখন যদি ইসলাম ধর্মের আদি ধারার লোকজন বলতে থাকেন :
ক) মেয়েরা কোথায়ও বিচারণ করতে পারবে না – তাহলে সেই জায়গা ইবলিস দখল করে নিবে ।
খ) মিডিয়া কর্ম ও প্রচার হারাম তাই সেখানে যাওয়া যাবে না তাহলে সেই জায়গা ইবলিস দখল করে নিবে ।
গ) প্রচার কর্মে তাবলীগই একমাত্র উৎস , তাহলেও প্রচারের সেই আধুনিকতার জায়গা ইবলিস দখল করে নিবে ।
তাই
* এভাবেই আমাদের কোরআন শিক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে কৌশলী হতে হবে ।
* কোরআনের জ্ঞানের সাথে , আক্বল , সুন্নাহের সমন্বয় করে আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান লাভ করতে হবে ।
* শিক্ষার ক্ষেত্রে আদিম বাঁধা উপেক্ষা করে কোরআন শিক্ষা প্রতিযোগীতায় নামতে হবে ।
* কোরআন শিক্ষা ফরজ মনে করেই , নারী-পুরুষ সকল বয়সের বাঁধা উপেক্ষা করে সর্বত্র আগ্রহের সাথে কাজ করতে হবে ।
* সর্বত্র কোরআন শিক্ষা সকল বাঁধা উপেক্ষা করে শিক্ষা মেলা জোরদার করতে হবে ।
আমীন ।।
আহমেদ জাফর
No comment