মানবাধিকার
মানবাধিকার প্রশ্নে এরুপ একটি মন্তব্য পাওয়া যায় :
“ Everyone has the right to freedom of thought, conscience and religion; this right includes freedom to change his religion or belief, and freedom, either alone”
– প্রত্যেকের চিন্তার স্বাধীনতা , বিবেক ( আক্বল/ Common Sense) , ধর্ম আছে । এই অধিকার ধর্ম বা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে এক জন হলে অধিকার সংরক্ষিত থাকতে হবে ।
–
এখন আমার আলোচনার বিষয় হল মানুষ আল্লাহ সুবহানু তায়ালা সৃস্টি করে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে যে সর্বাধিক অধিকার ভূক্ত করলেন ।
তা যদি আমরা মানি তার পরও কি তথা কথিত মানব রচিত Human Rights এর সংজ্ঞা পড়া বা
মানার প্রয়োজন ছিল ?
১। মানুষকে আল্লাহ ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করার মত বিবেক / আক্বল দিয়েছেন এবং তা বুঝার জন্য
আল্লাহর বিধান কোরআন নাযিল করেছেন ।
আর কোরআন উপরের প্রচলিত সংজ্ঞার কোন অংশ কি রহিত করেছেন ?
নিশ্চয়ই না ।
বরং মানব রচিত Human Rights এর সংজ্ঞা
যারাই রচনা করেছেন , পড়ছেন বা আলোড়ন করছেন তারা কোরআনের জ্ঞান থেকে দুরে থাকার জন্য সঠিকভাবে মানবাধিকার মানছেন না ।
তাহলে বুঝা যায় মহা প্রতারক ইবলিস মানব
জাতির মধ্যে বিভেদ তৈরী করার উদ্দেশ্যে
কোরআনের সঠিক উদ্ধৃতির কিয়দাংশ রহিত করে
কোরআনের থাকে যারা সম্পৃক্ত নয় তাদের দ্বারা
Human Rights সংজ্ঞা রচিত করায় এবং তাদের উত্তরসূরী দিয়ে তা মানতে বাধ্য করায় ।
তাই বিশ্ব মানব জাতীর প্রতি আহবান করছি ইবলিসের দাসত্ব না করে
কোরআন পড়ুন , বুঝুন ও আল্লাহর দ্বাসত্বের দিকে ফিরে আসুন ও সফলকাম হোন ।
একটি বিষয় লক্ষনীয় :
আল্লাহ রব্বুল আলামীন যুগে যুগে যত নবী – রসুলের আগমন ঘটিয়েছেন , সেই যুগের এবং সেই কওমের সবচেয়ে ক্ষমতাধর
কোন ব্যাক্তিকে আল্লাহ নবী-রাসুল করে পাঠান নি ।
বরং আল্লাহর পছন্দনীয় মধ্যম পন্থী
কোন একজনকে নবুয়্যত দিয়েছেন । আর যখনই তিনি ক্ষমতাবান ব্যাক্তির কাছে হেদায়তের বানী নিয়ে গিয়েছেন তখনই তাঁহারা (নবী-রাসুল গন ) লান্ছনার স্বীকার হয়েছেন ।
তাহলে একটু ভাবুন আল্লাহর পছন্দনীয় কারা ? বড় ক্ষমতার অধিকারী ফেরাউন বা তার অনুসারীরা ? নিশ্চয়ই না ।
সর্বশেষ কথা মানব + অধিকার জানতে ও মানতে হলে ,
* আগে কোরআন পড়ুন , বুঝুন ও মানুন ।
* যারা কোরআন বুঝে ও মানে তাদের সন্মান করুন ও তাদের অধিকার আগে নিশ্চিত করুন ।
* তাদের বাক শক্তি প্রয়োগ করার সুযোগ দিন ।
ইনশাআল্লাহ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে ।
আমীন ।
No comment