কাফিরদের / নাস্তিকদের ও মু’মিনদের চিন্তা শক্তির মূল পার্থক্য কোথায় ?

উত্তর : কাফিররা আগেই কোন অষাড় ও অপরিপক্ক ধারণাকে বদ্ধমূল ধারণা মনে করে মনের ভিতরে স্থায়ী ভাবে লালন করে তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে ফেলে ।

কারণ ইবলিস তাদের এমনভাবেই সুকৌশলে “ আল্লাহর কোরআনের মৌলিক তথ্যের বিপরীত কথা “ মনের মধ্যে স্থায়ী করে দেয় , যেন তারা কোরআন পড়তেই উদ্দত হতে না পারে । বরং ধারনটি এমনই স্থায়ী করে দেয় যে এর চেয়ে সত্য ও সাধুবাদ তথ্য আর হতেই পারে না ।

যার ফলে কাফিররা / নাস্তিকরা কোরআনের কোন দলিল বা তথ্য বলার আগেই , তারা বলে উঠেন , ওসব আমরা জানি ।

কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তারা শয়তানের দেয়া তথ্য মনে স্থায়ী করে কোরআনের তথ্য জানার , বুঝার বা চিন্তা করার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলে ।

সূরা বাকারা ২/১৬৩

وإلهكم اله واحد

لاإله الا هو الرحمن الرحيم ْ

“ আর তোমাদের ইলাহ এক তিনি ছাড়া আর কোন ইলাই নেই । তিনি দয়াময় ও অতি দয়ালু “।

এই আয়াত নাযিল হওয়ার পূর্বে মক্কার কুরায়েশদের ৩৬০ টি মুর্তি ছিল এবং তাদের ধারনা ছিল এক একটি মুর্তি এক এক ধরনের কাজ করতে পারে ।

তাদের এই ধারনাকে খন্ডনের জন্যই এই আয়াত নাযিল করে আল্লাহ প্রমান করতে চেয়েছেন , দুনিয়ার সকল কাজ এক আল্লাহই করতে সক্ষম ।

পক্ষান্তরে মু’মিনরা আগে থেকে অষাড় কোন তথ্য মনের মধ্যে লালন করে না বরং কোরআন পড়ে / অধ্যায়ন করে , তা গভীরভাবে বুঝার জন্য চিন্তা করতে থাকে ।

যেমনটি সূরা বাকারা – ২/১৬৪ নং আয়াতে আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন স্পস্ট করেছেন :

“ নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃস্টিতে , রাত দিনের বিবর্তনে এবং নদীতে নৌকাসমূহ চলাচলে মানুষের জন্য কল্যান রয়েছে ।

আর আল্লাহ তা’আলা আকাশ থেকে যে পানি বর্ষণ করেছেন , তা দ্বারা মৃতজমীনকে সজীব করে তুলেছেন এবং তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সকল রকম জীব-জন্তু ।

আর আবহাওয়ার পরিবর্তনে এবং মেঘমালা যা তারই হুকুমের অধীনে আসমান ও জমীনের মাঝে বিচরণ করে, নিশ্চয়ই সে সব বিষয়ের মাঝে জ্ঞানবান জাতি / সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শণ রয়েছে “।

সতরাং কাফির / নাস্তিকদের জ্ঞান ও মুমিনদের জ্ঞানের মাঝে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে ।

আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন তার বিস্ময়কর কুতরতের বর্ননা করতে গিয়ে মূলত উপরোক্ত আয়াত খানা নাযিল করে স্পস্ট করে দিয়েছেন , দুনিয়ায় যা কিছু ঘটে তা আমি এক আল্লাহর নির্দেশেই সুকৌশলে , সুসৃঙ্খলে নিয়মানুয়ী আমি আল্লাহর অতাৎক্ষনিক সিস্টেমে চলে ।

কিন্তু কাফির / নাস্তিকদের ধারনানুযায়ী যদি বিভিন্ন মূর্তির আদলে যদি একাধিক নিয়ন্ত্রক থাকত, তাহলে নির্দেশের ব্যত্যয় ঘটে সুসৃঙ্খল ও নিয়মানুয়ী

চলত না এবং দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকত ।

তাই সকল মানব জাতির প্রতি একান্ত আহবান , একটু গভীর ভাবে চিন্তা করুন , মনের জোর প্রবল করে ইবলিসের দাশমুক্ত হয়ে , কোরআন অধ্যায়ন করুন , আল্লাহর দেয়া মানব জাতির জীবন চক্রের ম্যানুয়াল অনুযায়ী চলুন ।

নিশ্চিত সাফল্য লাভ করুন ।

আমীন ।।

আহমেদ জাফর

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *