কর্মের মাধ্যমে মানবীয় কল্যান সাধন ও আল্লাহর স্থায়ী পথে আহবান ।
বিষয় : কর্মের মাধ্যমে মানবীয় কল্যান সাধন ও আল্লাহর স্থায়ী পথে আহবান ।
আমরা হয়ত অনেকেই জানি , হাদীস ( কোরআনের বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোরআন সম্পর্কে মানবকে শিক্ষা দেয়া ) মূলত তিন প্রকার :
১। মু: স: এর মুখের বানী ।
২। তাঁর কাজ- আমল – দৈনন্দিন জীবনের বৈশিষ্ট ও
৩। তিনি যা মৌন ভাবে সমপ্যর্থন করেছেন ।
কিন্তু মানব জাতির একটি অংশ কোরআনের শিক্ষার আড়ালে ওয়াজ -নসিহত বা তাগলীগ করে ইসলাম প্রচারের নাম দিয়ে অন্য অংশের কাছে তা বীষের বানীর মত বিদ্বেশের উৎস ও কারণ হিসেবে রূপ দিল ।
আমাদের ইসলাম প্রচার কাজে ব্যাস্ত ইসলামী
স্কলাররা কি একটু স্বচ্ছ ও কৌশলী হতে পারল না ???
বরং তা না করে তারা মানব জাতির তো উন্নয়ন করতে পারলই না উপরন্তু তাদের জীবনও বিপদ সংকুল অবস্থার দিকে ঠেলে দিল ।
একটু একটু করে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি ও আল্লাহ পাক সহায় হলে জট খুলতে
পারব বলে ধারণা পোষন করছি ।
১। ফে’য়েলী ওয়াজ : কি চমকে গেলেন ? একটু চমকে যাবার কথা । হয়ত জীবনে সবাই ফ’য়েলী হাদীস শুনেছেন ও ফে’য়েলী হাদীসের কথা জানেন । কিন্তু ফে’য়েলী ওয়াজের কথা শুনেন নাই ।
যা আমি আজকে নতুন করে লিখলাম তাতে তো
একটু চমকে যেতেন পারেন ?
দেখন বাস্তব জীবনে আমাদের অনেক ইসলামী স্কলাররা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান ওয়াজ করে থাকেন এবং তাদের অনেক ভক্তবৃন্দ থাকে ।
কিন্তু তাদের পিছনেও মানব কুলের একটা বিরাট অংশ বিরুদ্ধাচারণ করেন ।
কারণ যদিও তাদের রীতির পরিপন্থি । আবার কেহ
সামাজিক – রাজনৈতিক চরিতার্থের বিরুদ্ধে ।
হয়ত ইসলাম বিদ্বেষীরা ভূল করছে ও ভুল পথে হাটছে , তথাপিও তারা যদি সমাজ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ক্ষমতার চেয়ার দখল করে থাকে , তাকে তো আর সহসা অবমূল্যায়ন বা অবহেলা করারও সুযোগ নেই ।
তাই এরূপ ক্ষেত্রে আল্লাহ ও রাসূলের অনুসারীদের কৌশল হল যে কোন উপায়ে ক্ষমতার চেয়ারে অধিষ্টজনকে আল্লাহর আবেদ বানানো ।
তাই এরূপ ক্ষেত্রে যদি আল্লাহর আবেদরা ফে’য়েলী ওয়াজ ও তাবলীগ করতে পারতেন অর্থাৎ
মুখে খোলা মাঠে প্রতিকুল পরিবেশে উচ্চাস্বরে ইসলামের দাওয়াত , নসিহত না করে কৌশলে তাদের প্রতি সকল শ্রেনীর মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারতেন , তাহলে সকল নাস্তিকরা আল্লাহর আবেদের বিরুদ্ধাচারন করার সুযোগ পেত না বরং তার প্রতি আনুপ্রানীত হবে ।
যেমন ধরুন , ডাক্তারী পেশা , সরকারী কর্মকর্তা , ব্যাংকিংসহ সরকারী- বেসরকারী , রাজনীতি ব্যাবসায়ী , ঘরের গৃহিনী সককল শ্রেনী পেশায়
আল্লাহ ও রাসূলের অনুসারীদের কাজ
করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারত , তাহলে তাদের কাছে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ যেতে বাধ্য হত ও তাদের আচরনে মুগ্ধ হয়ে আল্লাহর আবেদের অন্তর্ভূক্ত হত ।
সুতরাং তার জন্য দরকার প্রকৃত শিক্ষা ।
সতরাং ইসলামী স্কলারদের পার্থিব জীবনাকরণের জন্য সেকুলার শিক্ষা এবং সেকুলার শিক্ষার্থি ও অন্য সকলের জন্য কোরআন অধ্যায়নই একমাত্র
সমাধানের পথ ।
সবাইকে প্রকৃত তথ্য উপলব্দির জন্য হিংসা বিদ্বেশ ছেড়ে স্থায়ী পথের জন্য কাজ করার আহবান করছি ।
আমীন ।।
আহমেদ জাফর
No comment