প্রচলিত ভূল ধারনা – আমল নামা মাপার মানদন্ড , মানব চরিত্রের আদব ।
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ , কাছের ও দুরের সকল মানব জাতি,
إسلام عليكم وا راحماتلاه.
এতক্ষনে হয়ত আমার উপর বেজায় রাগ করে বসেছেন , কেন সকল মানব জাতিকে সালাম
দিলাম । যদি কারো কোন প্রশ্ন থাকে তখন এ ব্যাপারে আলাপ করব , ইনশাআল্লাহ ।
আজকের বিষয় : প্রচলিত ভূল ধারনা – আমল নামা মাপার মানদন্ড , মানব চরিত্রের আদব ।
১। আমল নামা মাপার মান দন্ড :
আমরা হয়ত অনেকেই ভাবি , মানবের
প্রাত্যাহিক জীবনে কেহই তো ভূলের উর্দ্ধে নয় ,
কিছু ভূল / পাপ তো হবেই ।
তাহলে যদি কিছু সওয়াব কামাই করতে পারি আর সওয়াবের পরিমান যদি পাপের তুলনায় বেশী হয়, তাহলেই তো জান্নাত পাব । তাহলে আর সমস্যা কোথায় ।
তাছাড়া অনেকেই মনে করেন , “ যে ব্যাক্তি একটি সৎ কর্ম করেন তার জন্য আল্লাহ দশগুন বা দ্বিগুন নেকি / সওয়াব দিবেন । আর যে একটি অসৎ কর্ম করবে , আল্লাহ তাকে অন্তত অনুরূপ শাস্তি দিবেন “।
মহা প্রতারক ইবলিস আমাদের এখানেই ভূল তথ্য শিখিয়ে সকল মানব জাতিকে পাপের সাগরে উলঙ্গ করে নিমজ্জিত করলেন ।
বস্তুত কোরআন ও হাদিসের রিসার্স করলে পাওয়া যায় :
ক) গুনাহ বা পাপের লঘু ও গুরু অনুসারে মান দন্ড নিরুপন হবে । লগু পাপ যেমন সৎ আমলের দ্বারা লাঘব করবেন কিন্তু কোরআন না মানা বা না পড়া , মিথ্যা বলা , শিরক করা ইত্যাদি গুরু মানের
কবীরা গুনা তওবা ছাড়া কোন আমলের দ্বারা
লাঘব হবে না ।
যা ইবলিস আমাদের জানতে দেননি । ফলে আমরা কবীরা গুনাহের শাস্তি অনুমান করতে পারছি না ।
২। তার চেয়েও মজার ও আতঙ্কের ব্যাপার হল যদি কেহ কবীরা গুনাহ করেন এবং সে উপলব্দি করে তওবা না করেন বা তওবা করার ইচ্ছা প্রকাশও না করেন তাহলে , তার পূর্বের সকল নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে ।
যেহেতু আল্লাহ বিজাতিস্সুদুর / অন্তরের অন্তঃস্থল সম্পর্কেও জানেন , সেই হেতু এই বিচারে নূ্ন্যতম
ভূল সিদ্ধান্ত হবার কোন সুযোগ নেই ।
খ) মানব চরিত্রের আদব :
আল্লাহ রব্বুল আলামীন , তার সকল সৎ ও গুনবাচক চরিত্র তাঁর প্রিয় নবী মু: স: এর মধ্যে শানিত করেছেন , যাতে করে মানুষ মুহম্মদ স: কে অনুস্বরন করলেই আল্লাহর ইচ্ছা মত সৎ চরিত্রের অধিকারী হতে পারে ।
সুতরাং কোন বিতর্ক না করে প্রি নবী মু: স: আদব ব্যাতিরেকে অন্য যে কোন চরিত্র আল্লাহ ও রসুলের পরিপন্থি হবে ।
তবে কাল বা যুগের বিবর্তনের জন্য যা কিছু আক্বল বা Common Sense দ্বারা উত্তম নিরূপিত হবে , তাহাই গ্রহন করা ইসলামের আদব ।
আমীন
No comment